লড়াই: হ্যারি কেনকে বাধা দিচ্ছেন স্কটল্যান্ডের গ্রান্ট হ্যানলি। ছবি রয়টার্স।
ইউরো
ইংল্যান্ড ০ স্কটল্যান্ড ০
ক্রোয়েশিয়া ১ চেক প্রজাতন্ত্র ১
সুইডেন ১ স্লোভাকিয়া ০
ইংল্যান্ডের জয়ের পথে কাঁটা ছড়িয়ে দিল স্কটল্যান্ড। শুক্রবার মর্যাদার লড়াইয়ে একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও জিততে পারলেন না ফিল ফডেনরা। নেপথ্যে হ্যারি কেনের ব্যর্থতা। ইউরো ২০২০-র প্রথম ম্যাচে বিশ্বকাপে রানার্স ক্রোয়েশিয়াকে ১-০ হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। গোল করেছিলেন রাহিম স্টার্লিং। শুক্রবার ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে অসংখ্য সুযোগ পেয়েও গোল পায়নি ইংল্যান্ড। জন স্টোনসের হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। স্কটল্যান্ডেরও নিশ্চিত গোল বাঁচান ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। এই ড্রয়ের ফলে দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে থাকল ইংল্যান্ড। শেষ ষোলোয় যোগ্যতা অর্জনের আশাও আপাতত অপূর্ণ থাকল স্টার্লিংদের।
গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্কে এ বার ইউরোর প্রতি ম্যাচেই গোল করা প্রায় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্রিক শিক। প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে জোড়া গোলের পরে শুক্রবার একই মাঠে গত বিশ্বকাপের রানার্স ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধেও পেনাল্টিতে গোল করলেন তিনি। ম্যাচ যদিও শেষ পর্যন্ত ১-১ ড্র হল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরান ক্রোয়েশিয়ার ফরোয়ার্ড ইভান পেরিসিচ। গ্রুপ ‘ডি’-র এই ম্যাচ জিতলেই প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যেত চেকরা। ম্যাচ অমীমাংসিত হওয়ায় ভ্লাদিমির দারিদার দল দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা জাগিয়ে রাখল। দু’ম্যাচে
এক পয়েন্ট ক্রোয়েশিয়ার।
৩৫ মিনিটে চেক প্রজাতন্ত্রের কর্নার হেড দিয়ে বিপন্মুক্ত করার পরে লভরেন কনুই দিয়ে আঘাত করেছিলেন শিককে। রেফারি ভিডিয়ো প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তাঁকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে পেনাল্টি দেন চেক প্রজাতন্ত্রকে। সেখান থেকেই শিকের গোল। প্রতিযোগিতায় দু’ম্যাচে তিন গোল হয়ে গেল তাঁর। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলে ম্যাচে ফেরে ক্রোয়েশিয়া। ৪৭ মিনিটে ক্র্যামারিচের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ দিক থেকে বক্সের ভিতরে ঢুকে এসে জোরালো শটে সমতা ফেরান ইভান পেরিসিচ। এই ম্যাচের আগে চাপের মুখে লড়ে ইউরো কাপের ‘ই’ গ্রুপে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটাল সুইডেন। শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গে স্লোভাকিয়াকে তারা হারাল ১-০। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে জেতালেন এমিল ফর্সবার্গ।