প্রতীকী চিত্র
ডোপের দায়ে অভিযুক্ত রাশিয়াকে ইতিমধ্যেই টোকিয়ো অলিম্পক্সে দল নামানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা।
রাশিয়ার এই অবস্থার পিছনে যে জার্মান সংস্থার স্টিং অপারেশন (গোপন ক্যামেরায় সত্য উদঘাটন) কাজ করেছিল, সেই সংস্থাই এ বার সামনে নিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন সংস্থার কেলেঙ্কারি। যা প্রমাণিত হলে টোকিয়োয় ভারোত্তোলন ইভেন্টও বাতিল হতে পারে।
আর্থিক দুর্নীতি থেকে ডোপ—সব কিছুতেই প্রায় কুড়ি বছর ধরে হয়েছে বিভিন্ন অনিয়ম। ফেডারেশনের দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট টমাস আজানের দিকেই অভিযোগের তির। হাঙ্গেরির আশি বছর বয়সী টমাস সংস্থায় ‘দুর্নীতির সংস্কৃতি’ এনেছেন বলে অভিযোগ। গোপন ক্যামেরার সামনে মলডোভার জাতীয় ভারোত্তোলন সংস্থার চিকিৎসক ডোরিন বালমুস বিস্তারিত ভাবে বলেন, কী ভাবে ভারোত্তোলকদের মূত্রের নমুনা বদল করে দেওয়া হত। একজনের মূত্রের নমুনা অন্যের নামে চালানো হত। বালমুস গোপন ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন, ২০০৮ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৪৫০টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও অলিম্পিক্সে যোগ দেওয়া অ্যাথলিটদের অর্ধেকের ডোপ পরীক্ষা হয়নি। শুধু তাই নয়, তাইল্যান্ডের হয়ে অলিম্পিক্সে ব্রো়ঞ্জ পদক জেতা রাটিকান গুলনল আঠারো বছর বয়স থেকেই শক্তিবর্ধক নিষিদ্ধ ওযুধ নিচ্ছেন যা পদক জেতায় প্রভাব ফেলেছেন বলেও জানান ওই চিকিৎসক।
এখানেই শেষ হয়নি বিতর্ক। আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়ও প্রকাশ্যে এসেছে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা থেকে পাওয়া বিশাল অঙ্কের টাকা সুইস ব্যাঙ্কের দু’টি অ্যাকাউন্টে কী ভাবে পাঠিয়েছেন টমাস আজান, তা-ও প্রকাশ করা হয়েছে। ১৯৭০ সাল থেকে ভারোত্তোলন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আজান ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট পদে আসেন। তারপর থেকেই দুর্নীতি শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ।