শুধু কলকাতা লিগ নয়, লাল-হলুদের ভবিষ্যৎ এখনও ঝুলেই রয়েছে।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ও বিনিয়োগকারী সংস্থার মধ্যে চুক্তি নিয়ে জট কাটার কোনও সম্ভাবনা দেখা না দিলেও তাদের রেখেই কলকাতা লিগের চূড়ান্ত গ্রুপ বিন্যাস করা হল। অগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে কলকাতা ফুটবল লিগ। চলবে দুর্গাপুজোর আগে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।
সোমবারও আইএফএ-র সভায় অনুপস্থিত ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ক্লাব ও বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্টের সমস্যা যাতে দ্রুত মিটে যায়, মঙ্গলবার দুই পক্ষকে চিঠি দিচ্ছেন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।
জয়দীপ বলেন, “এসসি ইস্টবেঙ্গলের কথা ভেবেই সোমবারের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সোমবার সকালে বিনিয়োগকারীদের সিইও শিবাজি সমাদ্দার ই-মেল করে তাঁর অনুপস্থিতির কথা জানিয়ে দেন। তবে সেই চিঠিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে কলকাতা লিগ না খেলার কথা লেখা হয়নি। এর আগেও ওঁর সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে বিনিয়োগকারীরা দল নামাতে ইচ্ছুক। তাই এসসি ইস্টবেঙ্গলকে রেখেই এ দিন গ্রুপ বিন্যাস করা হল। সেই চূড়ান্ত গ্রুপ বিন্যাস বাকি ক্লাবগুলোর মতো এসসি ইস্টবেঙ্গলকেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। লিগ খেলতে হলে আগামী দুই দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই বার্তাও বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হয়েছে।”
বিনিয়োগকারীদের সিইও শিবাজি সমাদ্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সেই পুরনো কথাই বলেছেন। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “আমরা তো খেলতে চাই। কিন্তু চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে ক্লাব এখনও সই করেনি। সেটা না হলে শুধু কলকাতা লিগ কেন, কোনও প্রতিযোগিতার জন্য দল গড়া সম্ভব নয়। এখন যাবতীয় ব্যাপারটা ক্লাবের উপর নির্ভর করছে।”
বিনিয়োগকারীদের মতো ক্লাবও পুরনো অবস্থানে এখনও অনড়। লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকারের দাবি, “স্পোর্টিং রাইটস এখনও ওদের কাছে আছে। তাই মাঠে তো দল নামানো উচিত। আর যদি দল গড়তে বিনিয়োগকারীদের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেটা সংবাদ মাধ্যমের কাছে কেন বলছে! আমাদের সঙ্গেই তো আলোচনা করা যেতে পারে। তবে আমার ধারণা ওরা শেষ পর্যন্ত মাঠে দল নামাবে।”
এই ছবি কি আসন্ন মরসুমে দেখতে পাওয়া যাবে। ফাইল চিত্র।
আইএফএ-র সংবিধান অনুসারে নথিভুক্ত কোনও দল লিগে না খেললে অবনমনে চলে যাবে। তবে যেহেতু কোভিড পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি, তাই শতবর্ষের লাল-হলুদকে সেই লজ্জা বহন করতে হবে না, জানিয়ে দিলেন আইএফএ সচিব। তাঁর সংযোজন, “আইএফএ-র সংবিধান অনুসারে কোনও দল অংশ না নিলে সেই দল অবনমনে চলে যাবে। তবে এ বারের অবস্থা একেবারে আলাদা। করোনার জন্য তো বাকি ডিভিশনের প্রতিযোগিতাই শুরু করা যাচ্ছে না। তাই এসসি ইস্টবেঙ্গলকে অবনমনে যেতে হবে না। তাছাড়া আমরাও চাই কলকাতা লিগের মান বজায় রাখতে তিন প্রধান খেলুক। সেই জন্য আইএফএ বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে ক্লাব ও বিনিয়োগকারীদের চিঠি দেবে।”
এ দিকে এটিকে মোহনবাগান ও মহমেডান কর্তাদের দাবি মেনে আসন্ন কলকাতা লিগে ছয় জন বিদেশি ফুটবলারকে সই করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তিন জন বিদেশি রিজার্ভ বেঞ্চে থাকলেও মাঠে নামতে পারবেন দুই বিদেশি।