সচিন তেন্ডুলকর ও বীরেন্দ্র সহবাগ। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
১৯৯৯ সালে চেন্নাই টেস্টে সচিন তেন্ডুলকরের ১৩৬ রানের ইনিংসকে ২০০৪ সালে মুলতান টেস্টে বীরেন্দ্র সহবাগের ৩০৯ রানের ইনিংসের চেয়ে এগিয়ে রাখলেন সাকলিন মুস্তাক।
১৯৯৯ সালের সেই চেন্নাই টেস্টে টানটান উত্তেজনার মধ্যে ১২ রানে জিতেছিল পাকিস্তান। সেই নাটকীয়তার মধ্যে সচিনের ইনিংস এসেছিল বলেই তা বেশি মূল্যবান বলে মনে করছেন পাক অফস্পিনার। ইউটিউবে একটি টক শোয়ে সাকলিন বলেছেন, “চেন্নাই টেস্টে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে সচিনের ইনিংসকে সহবাগের ত্রিশতরানের চেয়ে এগিয়ে রাখছি। কারণ, আমরা সে বার পুরো প্রস্তুতি নিয়ে ভারতে গিয়েছিলাম। আর সেই ম্যাচে রীতিমতো লড়াই চলেছিল। যা যুদ্ধের মতোই।” বাস্তব হল, সচিনের সেই ইনিংস এসেছিল পিঠে ব্যথা নিয়ে। ভারতকে জয়ের দোরগোড়ায় এনে সাকলিনের বলে আউট হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: কোভিডে আক্রান্ত লক্ষ্মীরতন শুক্লর স্ত্রী, রয়েছেন কোয়রান্টিনে
আরও পড়ুন: ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ অ্যাশেজের সমান, মত স্টিভের
আর মুলতানে সহবাগের ট্রিপল সেঞ্চুরির সুবাদে ইনিংস ও ৫২ রানে জিতেছিল ভারত। সেই ইনিংস নিয়ে সাকলিন মুস্তাক বলেছেন, “মুলতানে কোনও লড়াই ছিল না। তা ছাড়া ওটা ছিল টেস্টের প্রথম ইনিংস, দলের দ্বিতীয় ইনিংস নয়। প্রথম দিনের পিচ ছিল। আমরা তেমন প্রস্তুতি নিইনি। ওর সবকিছুই ঠিকঠাক হচ্ছিল। আবহাওয়াও সহায়ক ছিল। এটা বলছি না যে ও ভাল ক্রিকেটার নয়। ও খুবই ভাল ব্যাটসম্যান। তবে আমি আহত ছিলাম, শোয়েবও চোট পেয়েছিল। উইকেট ছিল পাটা। বোলারদের পক্ষে পরিস্থিতি ছিল প্রতিকূল। আমাদের পুরো বোলিং ইউনিট ছন্দহীন ছিল। আমাদের বোর্ডেও সমস্যা ছিল। হঠাৎ ইনজামামকে ক্যাপ্টেন করে দেওয়া হয়েছিল।”
সেই সময় পাকিস্তান দলের অন্দরমহল কেমন ছিল, জানিয়েছেন সাকলিন। বলেছেন, “পরিস্থিতি ক্রমশ পাল্টে যাচ্ছিল। মানসিকতাও ঠিক ছিল না। ফোকাস ঠিক ছিল না। প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। অ্যাশেজের জন্য প্রস্তুতি চলে এক বছরের। আর আমরা ভারতের বিরুদ্ধে খেললেও পরিকল্পনা, প্রস্তুতিতে পিছিয়ে ছিলাম। সহবাগ খুবই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। কিন্তু ওর ত্রিশতরানকে সেই কারণেই গুরুত্ব দিতে পারছি না। আমার মনে হয় পরিস্থিতি ওকে থালায় সাজিয়ে সব দিয়েছিল। ও অনেক ভাল ইনিংস খেলেছিল। প্রস্তুতি ভাল হলে তবেই মজা হয়। ব্যাটসম্যানের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলে বোলিং ইউনিট।”