দুটো টিমই খুব কাছাকাছি থাকবে। এ রকম হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে একটা ছোট পয়েন্ট, একটা ব্রেক তফাৎ গড়ে দিতে পারে। চাপ সামলানোর পাশাপাশি এ সব ছোট ছোট সুযোগ কে কতটা কাজে লাগাতে পারছে, সেটাই আসল। সানিয়া-মার্টিনা গত মরসুম থেকে এক সঙ্গে এত দিন খেলছে। নিজেদের খেলাটা খুব ভাল চেনে। কার কোনটা দুর্বলতা সেটাও জানে। সেটা দু’জনেরই প্লাস পয়েন্ট আবার মাইনাসও।
এই অবস্থায় আমাকে যদি বেছে নিতে বলা হয়, তা হলে আমি এক শতাংশ হলেও সানিয়া-ডডিজকে এগিয়ে রাখব মার্টিনা-লিয়েন্ডারের থেকে। সানিয়া আর ওর পার্টনার এ বার খুব ভাল ফর্মে আছে। সে দিক দিয়ে দেখতে গেলে ওরা যথার্থই শীর্ষ বাছাই। তার উপর ডাবলসে লিয়েন্ডারকে অতটা ফর্মে এ বার দেখা যাচ্ছে না। মেলবোর্ন পার্কে জেরেমি শার্ডিকে নিয়ে প্রথম রাউন্ডে়ই তো হেরে গিয়েছে লিয়েন্ডার। এ বার ওদের গায়ে বাছাইয়ের জার্সিটা নেই। তবে ভুললে চলবে না গত বার অস্ট্রেলীয় ওপেন কিন্তু এই লিয়েন্ডার-মার্টিনাই জিতেছিল। এখানকার পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে কী ভাবে খাপ খাইয়ে নিতে হয় সেটা ওরা খুব ভাল জানে। তার উপর উইম্বলডন আর যুক্তরাষ্ট্র ওপেন, দুটো গ্র্যান্ড স্ল্যামই কিন্তু মার্টিনা-লিয়েন্ডারের দখলে গিয়েছিল গত বার। তাই ফর্মে না হলেও ধারাবাহিকতার দিক থেকে লিয়েন্ডাররা এগিয়ে। তবে দিনের শেষে ফর্মটাই আসল। তাই আমার কাছে টিম সানিয়া ৫১, টিম মার্টিনা ৪৯।