ছবি সংগৃহীত।
হকির জাদুকর তিনি। অলিম্পিক্সের তিনটি সোনা তাঁর দখলে। সেই ধ্যানচাঁদের জন্মদিন পালিত হয় জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসেবে। এই দিনে পুরস্কৃত করা হয় রাজীব গাঁধী খেলরত্ন, অর্জুন, ধ্যানচাঁদ, দ্রোণাচার্যদের। অথচ এখনও ভারতরত্ন দেওয়া হয়নি ধ্যানচাঁদকে। কিংবদন্তি হকি তারকার ১১৫তম জন্মদিনে আরও একবার উঠে এল সেই বিতর্ক।
করোনার কারণে শনিবার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সম্মানিত হলেন দেশের ৬০ জন ক্রীড়াবিদ। করোনা সংক্রমণ, বার্ধক্যজনিত ও অন্যান্য কারণে বিনেশ ফোগট-সহ ১৪জন ক্রীড়াবিদ অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। বয়সজনিত কারণে পুরস্কার নিতে আসতে পারেননি টেনিস কিংবদন্তি নরেশ কুমারও। তবে ক্রীড়াবিদেরা খুশি, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু পুরস্কারমূল্য বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করায়। তিনি জানান, রাজীব গাঁধী খেলরত্ন প্রাপকেরা এ বার থেকে ৭.৫ লক্ষের বদলে পুরস্কার হিসেবে পেলেন ২৫ লক্ষ টাকা। অর্জুন প্রাপকেরা পেলেন পাঁচের বদলে ১৫ লক্ষ টাকা। সারা জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে দ্রোণাচার্য সম্মান প্রাপকেরাও পেলেন ১৫ লক্ষ টাকা। এই বিভাগের বাকিরা পেলেন ১০ লক্ষ। ধ্যানচাঁদ সম্মান প্রাপকেরাও পেয়েছেন ১০ লক্ষ টাকা। অর্জুন পেয়ে উচ্ছ্বসিত অ্যাথলিট দ্যুতিচন্দ বললেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার সরাসরি নিতে না পাওয়ার আক্ষেপ থেকেই গেল।’’ একই কারণে বাংলার তিরন্দাজ অতনু দাস ও ক্রিকেটার দীপ্তি শর্মারও মন খারাপ।
ভারতীয় মহিলা হকি দলের অধিনায়ক রানি রামপাল শাড়ি, ব্লেজারের উপরে ‘পিপিই কিট’ পরে পুরস্কার নিয়েছেন। অর্জুন পুরস্কার পেয়ে ফুটবলার সন্দেশ ঝিঙ্ঘান বলেছেন, ‘‘একটা স্বপ্ন সফল হল। আর একটা স্বপ্ন সফল হবে যে দিন ভারত বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।’’ কলকাতাতেও পালিত হল জাতীয় ক্রীড়া দিবস। ধ্যানচাঁদের জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।