ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাটকীয় বিশ্বকাপ জয়ের মতোই নাটকীয় হয়েছে ক্যারিবিয়ানদের জয়োত্তর উৎসব পর্ব। যে উৎসব ক্যারিবিয়ানদের আনন্দের কারণ হলেও তা খুব একটা ভাল ভাবে নিতে পারেনি আইসিসি। বিশেষ করে মার্লন স্যামুয়েলস যে ভাবে টেবলের উপর পা তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন, তাতে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ স্যামুয়েলসের এখন বিচার চলছে।
আইসিসি-র চিফ এগজিকিউটিভ ডেভ রিচার্ডসন এখন স্যামুলেয়সের ব্যাপারটা খতিয়ে দেখছেন। পাঁচ দিন লাগে ব্যাপারটা তদন্ত করে দেখতে। এর মধ্যে দু’দিন হয়ে গিয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে জানা যাবে স্যামুয়েলসের ভাগ্যে কী আছে। তাঁর শাস্তি হবে, নাকি সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হবে।
সেই দুই বিতর্কিত সাংবাদিক সম্মেলন।
ঠিক একই ভাবে সেমিফাইনালে হারের পর সাংবাদিক সম্মেলনে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি যে ভাবে এক সাংবাদিককে ডেকে এনে তাঁকে পাশে বসিয়ে কথাবার্তা বলেছেন, সেটাও মেনে নিতে পারছে না আইসিসি। সমস্যা হল, ক্রিকেটাররা মাঠের মধ্যে উল্টোপাল্টা আচরণ করলে, তাঁকে শাস্তি দিতে পারেন ম্যাচ রেফারি। ‘ব্রিংগিং দ্য গেম টু ডিসরেপিউট’ ধারায়, অর্থাৎ খেলাটাকে অসম্মান করার জন্য। কিন্তু ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ক্রিকেটাররা আর ম্যাচ রেফারির ক্ষমতার আওতায় পড়েন না। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে সব ঘটনা ঘটেছে, তা দেখার পর আইসিসি এখন চিন্তা ভাবনা করছে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নতুন আচরণবিধি আইন আনার। যেটা চালু হলে খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পর, মাঠের বাইরেও ক্রিকেটাররা আচরণবিধি আইনের আওতায় পড়বেন।