দেশের হয়ে প্রথম পদক জয়ের পর সাক্ষী মালিক। ছবি: এএফপি।
অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান! রিও অলিম্পিক্সের একাদশতম দিনে ব্রোঞ্জ জিতে ভারতের পদক-খরা কাটালেন সাক্ষী মালিক। কুস্তির কড়া প্যাঁচে প্রতিদ্বন্দ্বীকে ধরাশায়ী করে ইতিহাস গড়লেন ২৩ বছরের হরিয়ানভি যুবতী।
৫৮ কেজি বিভাগের ফ্রিস্টাইল কুস্তিতে হারালেন এমন এক প্রতিপক্ষকে যিনি প্রথম বাউটেই ৫-০’তে এগিয়ে ছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য দুর্দান্ত ফাইটব্যাক করেন সাক্ষী। ৮-৫’এর ফাইনাল পয়েন্ট দেখলেই বোঝা যায়, কী রকম নাটকীয় মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল এই লড়াইয়ে। এ দিন রেপেশাজ রাউন্ড টু বাউটে প্রথমে মঙ্গোলিয়ার ওরকনের বিরুদ্ধে ১২-৩ জেতেন তিনি। তার পর ব্রোঞ্জ পদক ম্যাচে কিরগিজস্তানের আইসুলু টাইবেকোভাকে হারিয়ে রিওতে ভারতের প্রথম পদক জয় করলেন সাক্ষী।
অথচ রিওর মাটিতে ভারতীয়দের পদকযাত্রা শুরুর আগে একের পর এক তারকা মুখের ভিড়ে যেন বেশ খানিকটা পিছনেই ছিলেন সাক্ষী। গগন নারাঙ্গ, লিয়েন্ডার পেজ, সানিয়া মির্জা, দীপা কর্মকার কিংবা সাইনা নেহওয়াল— একের পর এক তারকার কাছ থেকে পদকের আলো নিভতে থাকলেও আশা ছাড়েননি সাক্ষী। তবে রোহতকের এই কন্যার কাছে লড়াইটা অত সহজ ছিল না। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে হেরেও গিয়েছিলেন তিনি। ২-৯’তে কোয়ার্টারে ভ্যালেরিয়া কোবলোভার কাছে পরাজিত হন। কিন্তু, শেষ ষোলোতে কোয়ার্টারের জয়ী বিপক্ষ ফাইনালে ওঠায় রেপেশাজ রাউন্ডে ওঠেন তিনি। পদকের হাতছানির সামনে এসে তাই বোধহয় এত সহজে তা এ়ড়াতে চাননি সাক্ষী।
অলিম্পিক্স পদক জিতে ইতিহাস গড়ার পাশাপাশি একটা এলিট ক্লাবেও ঢুকে পড়লেন সাক্ষী। তাঁর আগে মাত্র তিন জন ভারতীয় মহিলা খেলোয়াড়ের কাছ রয়েছে অলিম্পিক্সের পদক। ভারোত্তলক কর্ণম মালেশ্বরী, বক্সার মেরি কম এবং শাটলার সাইনার নেহওয়ালের পর নিজের কাছে রেখে দিলেন এক অমূল্য স্মৃতি। দেশের প্রথম মহিলা কুস্তিগীর হিসেবে অলিম্পিক্স পদক জেতার চিরসবুজ ছবি।
আরও পড়ুন