সাক্ষী মালিক।
ক্ষমা চেয়ে জাতীয় শিবিরে ফিরলেন মহিলা কুস্তিগির সাক্ষী মালিক। অনুমতি না নিয়ে শিবির ছাড়ার কারণে তাঁকে শো কজ নোটিশ দিয়েছিল জাতীয় কুস্তি সংস্থা। পরে নিজের ভুল স্বীকার করায় তাঁকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
লখনউ-এর সাই কেন্দ্রে এই মুহূর্তে অনুশীলন করছেন ৪৫ জন মহিলা কুস্তিগির। তার মধ্যে ২৫ জন কুস্তিগির জাতীয় সংস্থার অনুমতি না নিয়ে শিবির ছেড়ে যাওয়ায় তৈরি হয় বিতর্ক। সাক্ষী ছাড়াও শো কজ নোটিশ দেওয়া হয়েছিল সীমা বিসলা এবং কিরণকে। প্রসঙ্গত এই তিন মহিলা কুস্তিগিরই বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপের দলে রয়েছেন। শো কজ নোটিশে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী বুধবারের মধ্যে তাঁদের জবাবদিহি করতে হবে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পেরে সাক্ষী তাঁর আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। সোমবার জাতীয় কুস্তি সংস্থার সহ সচিব অমিত টোমার বলেছেন, ‘‘রাখি উৎসবের জন্য সাক্ষী বাড়ি চলে গিয়েছিল। ও নিজের আচরণের জন্য লজ্জিত এবং সংস্থার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। ফলে ওকে আবার শিবিরে ফেরানো হচ্ছে।’’ তিনি আরও জানান, বাকি দুই মহিলা কুস্তিগির সীমা এবং কিরণও একই কারণে বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাঁরাও ক্ষমা চাওয়ায় জাতীয় কুস্তি সংস্থা নমনীয় মনোভাব নিয়েছে। ওরা তিন জনেই শিবিরে যোগ দিতে পারে।’’
তবে সাক্ষীদের ক্ষমা করে দেওয়া হলেও বাকি ২৫ মহিলা কুস্তিগিরকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁদের প্রসঙ্গে টোমার বলেছেন, ‘‘বাকি কুস্তিগিরদের নিয়ে আমরা এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। ওঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে শৃঙ্খলা ভাঙার কারণে। প্রয়োজন পড়লে ওদের আবার শিবিরে ফেরার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।’’
বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি হিসেবে বেলারুশ এবং এস্তোনিয়া সফরে যাবে ভারতীয় দল। তার আগে এই বিতর্কে তৈরি হয়েছে জটিলতা। গোটা ঘটনায় বিরক্ত জাতীয় কুস্তি সংস্থার প্রেসিডেন্ট ব্রিজ ভূষণ শরন সিংহ। সোমবার সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা এটা স্পষ্ট করে দিতে চাই, যারা এই শিবিরে সত্যিই নিজেদের উন্নত করার বিষয়ে আগ্রহী, তারাই থাকতে পারে।’’