সাক্ষী মালিক। —ফাইল চিত্র।
দিল্লিতে কুস্তিগিরদের আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন না সাক্ষী মালিক। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। সোমবার দুপুরে হঠাৎ তাঁর আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানো নিয়ে খবর ছড়ায়। তৈরি হয় চাঞ্চল্য।
দিল্লিতে কুস্তিগিরদের প্রতিবাদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন রিয়ো অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জয়ী সাক্ষী মালিক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাক্ষী। সোমবার হঠাৎ করেই এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। খবরটি যে সম্পূর্ণ ভুল, তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে প্রথম জানান বজরং পুনিয়া। পরে রেলের অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় সাক্ষী নিজেও বলেছেন, ‘‘ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। দয়া করে ভুয়ো খবর ছড়াবেন না।’’
শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাসভবনে বৈঠক করেন প্রতিবাদী কুস্তিগিরেরা। সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। প্রতিনিধি দলে সাক্ষী, বজরং ছাড়া আরও দুই কুস্তিগির ছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের শুধু বলেছেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে।’’ গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক হলেও খুশি হননি কুস্তিগিরেরা। শাহের বাসভবন থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। সাক্ষীর স্বামী তথা কুস্তিগির সত্যার্থ কাদিয়ান বলেছেন, ‘‘আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া পাইনি। তাই আমরা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসি। কী ভাবে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি আমরা। কোনও ভাবেই পিছিয়ে আসতে রাজি নই।’’ তাঁর বক্তব্যেও সাক্ষীর আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনও ইঙ্গিত ছিল না। উল্লেখ্য, কুস্তিগিরদের আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ সাক্ষী।
নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন উত্তেজনার পর দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। নতুন করে কোথাও ধর্না শুরু করেননি বজরং, সাক্ষীরা। তাঁরা আপাতত ভারতীয় রেলের দফতরে নিজেদের কাজে যোগ দিয়েছেন। কাজে যোগ দিয়েছেন বিনেশ ফোগটও।
কুস্তি কর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদীদের অভিযোগ, নানা অছিলায় বিভিন্ন সময় মহিলা খেলোয়াড়দের হেনস্থা করেছেন। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর করা হয়েছে। কুস্তি কর্তাকে গ্রেফতার করার দাবি করেছেন তাঁরা। তাঁদের এফআইআরের ভিত্তিতে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।