(বাঁদিকে) অমিত শাহ। ধর্না মঞ্চে বজরং পুনিয়া এবং সাক্ষী মালিক। —ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করে খুশি নন প্রতিবাদী কুস্তিগিরেরা। বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা নাকি অমিত শাহের কাছ থেকে প্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া পাননি। তাঁরা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এমনই জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত থাকা অন্যতম প্রতিবাদী কুস্তিগির সত্যার্থ কাদিয়ান।
শাহের সঙ্গে কথা বলার পরেও কুস্তিগিরদের ক্ষোভ কমেনি। বরং তাঁরা কিছুটা হতাশ। এ কথা জানিয়েছেন সাক্ষীর স্বামী সত্যার্থ। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া পাইনি। তাই আমরা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসি। কী ভাবে আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি আমরা। কোনও ভাবেই পিছিয়ে আসতে রাজি নই।’’
শনিবার রাত ১১টার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লিতে শাহের বাসভবনে গিয়েছিলেন প্রতিবাদী কুস্তিগিরেরা। চার জন কুস্তিগির বৈঠক করেন শাহের সঙ্গে। তাঁদের দাবি ছিল, অভিযুক্ত কুস্তি কর্তা ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট দিতে হবে। তাঁদের বক্তব্য মন দিয়ে শোনেন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের শুধু বলেছেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে।’’ গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক হলেও খুশি নন কুস্তিগিরেরা। তাই শাহের বাসভবন থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। এর আগে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করেও খুশি হতে পারেননি প্রতিবাদী কুস্তিগিরেরা। অনুরাগ তাঁদের বলেছিলেন, ‘‘সব অভিযোগের তদন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে।’’
সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদীদের অভিযোগ, নানা অছিলায় বিভিন্ন সময় মহিলা খেলোয়াড়দের হেনস্থা করেছেন। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর করা হয়েছে। কুস্তি কর্তাকে গ্রেফতার করার দাবি করেছেন তাঁরা। তাঁদের এফআইআরের ভিত্তিতে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।