ক্ষুব্ধ সাইনা নেহওয়াল।
তাইল্যান্ডে আসন্ন প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে প্রশিক্ষক, ফিজিয়োদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। রয়েছে আরও বিধিনিষেধও। এ জন্য বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থাকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন ক্ষুব্ধ সাইনা নেহওয়াল।
ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা এই বিষয়ে একাধিক টুইট করেন। বুঝিয়ে দেন, করোনার জন্য তাইল্যান্ডে জৈব সুরক্ষিত বলয়ে যে বিধিনিষেধ চালু করেছে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থা, তাতে তিনি কতটা অসন্তুষ্ট। ‘‘করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসার পরেও গোটা টুরে ফিজিয়ো ও ট্রেনাররা আমাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। চার সপ্তাহ কী ভাবে আমাদের এ সব মেনে অনুশীলন করা সম্ভব! আমরা প্রতিযোগিতা সেরা প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে চাই। দয়া করে এই বিষয়টি সমাধানের অনুরোধ করছি বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থাকে,’’ টুইট করেন সাইনা।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনের জন্য মার্চ মাস পর্যন্ত খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সকে বিচার করা হবে। সাইনা তাই চিন্তিত, ঠিকঠাক অনুশীলন করতে না পারলে খেলায় তার প্রভাব পড়তে পারে। প্রাক্তন বিশ্বসেরা ব্যাডমিন্টন তারকা বলেছেন, এই বিষয়ে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে এখনও পর্যন্ত লাভ হয়নি। তিনি টুইটে আরও বলেছেন, ‘‘গোটা দলের অনুশীলনের জন্য মাত্র এক ঘণ্টা সময় বরাদ্দ? জিমের জন্যও একই সময়। অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জনের জন্য মার্চ মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। সেটাকে সামনে রেখে নিজেকে প্রস্তুতির মাধ্যমে সেরা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এগুলো যথেষ্ট নয়।’’
বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থার ওয়ার্ল্ড টুর ফাইনালস এবং দুটি সুপার ১০০০ প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে ভারতীয় দল এই মুহূর্তে রয়েছে ব্যাঙ্ককে। অতিমারির জন্য দীর্ঘ দিন পরে এই প্রতিযোগিতাগুলিতে খেলতে দেখা যাবে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের। আর একটি টুইটে সাইনা লিখেছেন, ‘‘ওয়ার্ম আপ, টেপিং, কুল ডাউন, স্ট্রেচের জন্য সময় দেওয়া হচ্ছে না। অথচ সেরা খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করার কথা বলা হচ্ছে। তাই নয় কি?’’ অলিম্পিক্স পদকজয়ী তারকা সঙ্গে এই প্রশ্নও তুলেছেন, ‘‘প্রচুর অর্থ খরচ করে আমরা ফিজিয়ো ও প্রশিক্ষকদের সঙ্গে এনেছি। যদি তাঁরা আমাদের সাহায্যই করতে না পারেন সেটা আগে কেন জানানো হল না?’’