আগেই সচিনের লাগেজে ভুল ট্যাগ লাগিয়ে বিপাকে পড়েছিল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। এবার মাস্টার ব্লাস্টারের পরিচয় জানতে চেয়ে দ্বিগুণ সমালোচনার মুখে পড়তে হল তাদের। ঘটনার সূত্রপাত সচিনের একটা টুইট থেকে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ‘পরোয়া করি না’ হাবভাবে মাস্টার ব্লাস্টার ভয়ানক রেগেছেন। এই খবর সামনে আসার পরেই হইচই পড়ে যায়। এমনিতে ডিপ্লোম্যাটিক স্বভাবের জন্য পরিচিত এই ক্রিকেট কিংবদন্তী। প্রকাশ্যে তাঁকে এতটা রাগতে শেষ কবে দেখা গেছে তা বোধহয় এখন আর কারোরই মনে নেই। সেই সচিনই স্বভাব বিরুদ্ধ ঢঙে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে একের পর এক টুইটে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে রীতিমত কামান দাগেন। সচিনের টুইট থেকেই জানা গেছে আসন থাকা সত্ত্বেও তাঁর পরিবারের সদস্যদের টিকিট কনফার্ম করার গরজ দেখায়নি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। ওয়েটিং লিস্টেই রেখে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের নাম। এমনকি জিনিসপত্রে ভুল ট্যাগ লাগিয়ে পাঠানো হয়েছে অন্য ঠিকানায়। বারবার বলা সত্ত্বেও ভুল শোধরানোর পথ মাড়ায়নি ওই এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ।
সচিনের টুইট কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্তর্জাল দুনিয়ায় ঝড় তোলে। সমালোচনায় বিদ্ধ হতে শুরু করে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। তাদেরকে নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রুপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করা শুরু করে।
তবে সচিনের টুইট বোমার জেরে বিপাকে পড়ে তড়িঘড়ি টুইট করে ক্ষমা চেয়ে নেয় এই এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই টুইটই নয়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ক্ষমা চাইতে গিয়ে তারা চেয়ে বসলেন সচিনের পুরো নাম, ঠিকানা। আর তাতেই ভীষণ ক্ষুব্ধ সচিনের ভক্তকূল। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সাফাই, অফিসিয়াল কারণেই নাকি সচিনের পুরো নাম জানতে চেয়েছেন তারা। তবে তাতে আপাতত চিঁড়ে ভিজছে না। সোশ্যাল মিডিয়াতে এখন তাদের বিরুদ্ধে মোটামুটি ‘বোমা বর্ষণ’ চলছে।
ক্ষুব্ধ সচিন, ক্ষমা চাইল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ