Cricket

বিশ্বকাপ জেতার সেই ছবির জন্য ২০ বছরের সেরা ক্রীড়া মুহূর্ত সম্মান পেলেন সচিন

নুয়ান কুলশেখরার বলটা ওয়াংখেডে়র গ্যালারিতে উড়িয়ে দিতেই যুবরাজ সিংহ ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। ২৮ বছর পরে ভারতে এল বিশ্বকাপ। তার পরের ফ্রেম চিরকাল মনে রাখার মতো। সতীর্থদের কাঁধে সচিন তেন্ডুলকর। সেই মুহূর্ত বার্লিনে জিতে নেয় লরিয়াস সেরা ক্রীড়া মুহূর্তের সম্মান।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

বার্লিন শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৪৪
Share:

তিন কিংবদন্তি যখন এক ফ্রেমে। বার্লিনে সচিনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময়ে স্টিভ ওয় ও বরিস বেকার। ছবি— এএফপি।

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ভারত বিশ্বকাপ জেতার পরে বিরাট কোহালি, ইউসুফ পাঠানদের কাঁধে চড়ে ওয়াংখেড়ে প্রদক্ষিণ করছেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ সচিন তেন্ডুলকর। তাঁর হাতে দেশের পতাকা।

Advertisement

২০১১ বিশ্বকাপ জেতার পরের এই দৃশ্য ২০ বছরের সেরা ক্রীড়া মুহূর্তের লড়াইয়ে সেরার সম্মান ছিনিয়ে নিল বার্লিনে। সোমবার ২০১৯ সালের লরিয়াস ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সেরা ক্রীড়া মুহূর্তের সম্মান জেতেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’।

আরও পড়ুন: টি টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে দশে নামলেন কোহালি, দুইয়ে লোকেশ

Advertisement

টেনিসের কিংবদন্তি বরিস বেকার একশো সেঞ্চুরির মালিকের নাম ঘোষণা করেন। সচিনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তাঁর একসময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী স্টিভ ওয়। ট্রফি হাতে সচিন বলেন, ‘‘এই অনুভূতি অবিশ্বাস্য। বিশ্বকাপ জেতার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। খুব কমই এমন ইভেন্ট হয়, যখন গোটা দেশ আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে। আর এটাই প্রমাণ করে খেলাধুলো সত্যিই শক্তিশালী এবং মানুষের জীবনে তা ম্যাজিকের মতো প্রভাব ফেলে।’’

এই সেই মুহূর্ত। যার জন্য সচিন জিতলেন লরিয়াস পুরস্কার।

ট্রফি হাতে বিশ্বকাপ জেতার অনুভূতি সচিনকে শেয়ার করতে বলেন জার্মান টেনিস কিংবদন্তি। স্মৃতিচারণ করে সচিন বলেন, ‘‘১৯৮৩ সালে আমার বয়স তখন ১০। সেই বছরই ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিল। ওই বয়সে বিশ্বকাপ জেতার তাৎপর্য আমি বুঝতে পারিনি। সবাই আনন্দ করছিল তাই আমিও সবার সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠি। কিন্তু এটা যে দারুণ একটা সাফল্য, তা বুঝতে পারছিলাম। মনে মনে তখনই স্থির করেছিলাম আমিও এমন কোনও মুহূর্তের সাক্ষী হব কোনও একদিন।’’

তার পর থেকেই সেই স্বপ্নের পিছনে ছুটে যান সচিন। তাঁর সেই স্বপ্ন সত্যি হয় ২০১১ সালে। সচিন বলেন, ‘‘বিশ্বকাপ হাতে আমি, এটা আমার জীবনের সব চেয়ে গর্বের মুহূর্ত। ২২ বছর ধরে আমি একটা স্বপ্নের পিছনে ছুটে গিয়েছি। কখনও আশা হারাইনি। গোটা দেশের হয়ে সে দিন আমি ট্রফি হাতে তুলে নিয়েছিলাম।’’ সেই মুহূর্ত জায়গা পেয়েছে চিরদিনের ফ্রেমে।

আরও পড়ুন: দিনরাতের টেস্ট উপভোগ্য হবে ভারত খেলায়, বলছেন স্টিভ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement