উদ্যোগ: খেলোয়াড়দের চোট নিয়ে ডাক্তারদের অবহিত করলেন সচিন।
করোনা অতিমারির মধ্যে ভারতের তারকা খেলোয়াড়দের নানা ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। এ বার সচিন তেন্ডুলকর এগিয়ে এলেন অভিনব এক উদ্যোগ সামিল হতে।
করোনা নিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডাক্তারদের একটি সেমিনারে (যাকে বলা হয় ওয়েবিনার) যোগ দিলেন সচিন। এই ওয়েবিনারে তরুণ ডাক্তারদের সচিন অবহিত করলেন খেলোয়াড়দের কী ধরনের চোট লাগতে পারে এবং পরবর্তী পর্যায়ে কী ভাবে সেই চোটের ধাক্কা সামলে বেরিয়ে আসতে হয়, তা নিয়ে।
পরিচিত শল্যবিদ সুধীর ওয়ারিয়রের কাছ থেকে সচিন জানতে পারেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অনেক তরুণ ডাক্তার লকডাউনের এই সময়কে কাজে লাগিয়ে নানা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনাচক্রের আয়োজন করছেন। যে-হেতু লকডাউন চলছে, এই আলোচনাচক্র বেশিটাই চলছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। লাইভ ওয়েবিনারের আয়োজন করছেন তাঁরা। শনিবার তেমনই ডাক্তারদের মধ্যে আলোচনার বিষয় ছিল ক্রীড়াবিদদের চোট-আঘাত।
জানার পরেই সচিনের মনে হয়, এই আলোচনাচক্রে তিনিও যোগ দিয়ে অবদান রাখতে পারেন। নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে তরুণ ডাক্তারদের তিনি হয়তো বোঝাতে পারবেন, চোট-আঘাত হলে ক্রীড়াবিদদের কী ভাবে তা সামলাতে হয় বা মানসিক ভাবে তার কী প্রভাব তাঁদের উপরে পড়ে। ক্রিকেট ভক্তেরা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি, ক্রিকেট জীবনের সেরা ফর্মে থাকার সময় টেনিস এলবোয় আক্রান্ত হন সচিন। তখন অনেকেই ভয় পেয়েছিলেন, তাঁর কেরিয়ারই না শেষ হয়ে যায়। সচিন শুধু টেনিস এলবোকে হারিয়ে ফিরেই আসেননি, নাগপুরে প্রত্যাবর্তনের প্রথম ম্যাচেই দুর্ধর্ষ খেলে সব উদ্বেগ দূর করেন।
সে সব মাথায় রেখেই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তিনি তরুণ ডাক্তারদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জানা গিয়েছে, আলোচনাচক্রে সচিন ব্যাখ্যা করেন, সাধারণ মানুষের থেকে খেলোয়াড়দের চোট-আঘাত কতটা আলাদা এবং তার জন্য পৃথক ভাবে কী ধরনের পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় বারো হাজার ডাক্তার এই আলোচনাচক্রে অংশ নেন। তাঁদের উদ্দেশে শত শতকের মালিক বলেন, চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত সকলের কাছে তিনি চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন। সব সময় তাঁদের থেকে পরিচর্যা পেয়েছেন। আশা প্রকাশ করেন, তাঁর বক্তব্য তরুণ ডাক্তারদের কাজে আসবে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং ভারতীয় দলের সঙ্গে ফিজিয়ো হিসেবে যুক্ত থাকা নীতিন পটেলের সঙ্গে আলোচনচক্র পরিচালনা করেন ডক্টর সুধীর ওয়ারিয়র।