শোকাহত: ওয়াড়েকরকে শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছলেন সচিন। ছবি: পিটিআই।
পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হল অজিত ওয়াড়েকরের। ১৯৭১-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ডে ভারতীয় দলকে প্রথম বার টেস্ট জেতানো অধিনায়ক দীর্ঘ রোগভোগের পরে ক্রিকেট দলের গত ১৫ অগস্ট মারা যান।
শুক্রবার সকালে ওয়াড়েকরের দেহ রাখা ছিল প্রথমে তাঁর ওরলির বাড়িতে। আত্মীয়, বন্ধু, ঘনিষ্ঠজন এবং ভক্তরা যাতে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন তাঁকে। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্যে সচিন তেন্ডুলকর, বিনোদ কাম্বলি, সমীর দিঘে, প্রাক্তন হকি অধিনায়ক এম এম সোমাইয়া-সহ মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার কর্তারাও শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে ছিলেন সংস্থার ক্রিকেট সংক্রান্ত জেনারেল ম্যানেজার সাবা করিম।
শোকাহত সচিন বলেন, ‘‘ওয়াড়েকর স্যর চলে যাওয়ায় অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমার কাছে এটা ব্যক্তিগত ক্ষতি। মানুষ ওয়াড়েকর স্যরকে দারুণ ক্রিকেটার হিসেবেই চেনে সবাই। তবে আমি ভাগ্যবান দুরন্ত ক্রিকেটার ছাড়াও ওয়াড়েকর স্যর কত ভাল এক জন মানুষ ছিলেন, সেটা দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমার কাছে উনি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ছিলেন।’’
তাঁর খেলোয়াড় জীবনে ওয়াড়েকরের অবদানের কথাও বলেন সচিন, ‘‘আমার জীবনে ওয়াড়েকর স্যরের অবদান বিরাট। বিশেষ করে কঠিন সময়ে ওয়াড়েকর স্যর খুব সাহায্য করেছেন। আমার বয়স তখন ২০। এই বয়সে লক্ষ্য থেকে সরে যাওয়ার প্রবণতা থাকেই। তাই ওই সময়ে আমার এমন কাউকে দরকার ছিল যে আমায় সঠিক দিশা দেখাতে পারবেন। যিনি নিজেই সেই পর্যায়ে পারফর্ম করেছেন। ওয়াড়েকর স্যর জানতেন কী ভাবে ক্রিকেটারদের থেকে সেরাটা বের করে আনতে হয়। ওঁর কাছ থেকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক সাহায্য পেয়েছি।’’ সচিন আরও বলেন, ‘‘উনি অনেক ভূমিকা পালন করেছেন জীবনে। দুরন্ত অধিনায়ক, কোচ এবং আমার বন্ধু হিসেবেও পেয়েছি ওঁকে। যে কোনও বিষয়ে আড্ডা দেওয়ার সুযোগ পেলে অনেকক্ষণ কাটিয়ে দিতাম আমরা। এত ভাল সম্পর্কের ছাপটা মাঠেও বোঝা যেত।’’
ওরলি থেকে এর পরে ওয়াড়েকরের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় শিবাজি পার্ক জিমখানায়। সেখানে প্রাক্তন ক্রিকেটার সন্দীপ পাটিল, নীলেশ কুলকার্নি, পদ্মাকর শিভালকরেরা শ্রদ্ধা জানান। জাতীয় পতাকায় ঢাকা ওয়াড়েকরের দেহ এর পরে শিবাজি পার্ক সংলগ্ন শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর পরিবার এবং ভক্তদের উপস্থিতিতে এর পরে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ওয়াড়েকরের।