একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় উদ্বেগে আব্রামোভিচরা। —ফাইল ছবি
রাশিয়ান ধনকুবেরদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পথে আরও এক ধাপ এগোল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
ইইউ অন্তর্ভূক্ত দেশগুলিতে রুশ ধনকুবেরদের যে সব সম্পত্তি রয়েছে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হবে। ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকা অট্টালিকা বা বিলাসবহুল প্রমোদতরীগুলি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্রিটেন এবং কানাডা আগেই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রুশ শিল্পপতি এবং ধনকুবেরদের উপর। সেই পথেই এবার হাঁটল ইইউ। ফলে আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচরা। আগেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ডিরেক্টর পদ হারিয়েছেন আব্রামোভিচ।
ইইউ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আব্রামোভিচ সহ রাশিয়ার বিভিন্ন রুশ শিল্পপতি এবং ধনকুবেরদের সঙ্গে সে দেশের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। অথচ তাঁরা কেউই ইউক্রেনের উপর সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করতে সচেষ্ট নন।
আব্রামোভিচের ১৪০ মিটার লম্বা বিলাসবহুল প্রমোদতরী সোলারিসকে সোমবারই মন্টেনেগ্রোয় দেখা গিয়েছে। কিন্তু তা ইইউ-এর অন্তর্ভূক্ত না হওয়ায় পদক্ষেপ করা যায়নি। অথচ রবিবারই সেটি ছিল পর্তুগালের একটি বন্দরে। ফোর্বস পত্রিকার দাবি, আব্রামোভিচ কমপক্ষে ছ’টি বিলাসবহুল জলযানের মালিক। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পর্তুগাল এবং ইজরায়েলের নাগরিকত্বও রয়েছে তাঁর।
গত শুক্রবার ইইউ সম্মেলনের পর ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন জানান, রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ভাবে বিচ্ছিন্ন করার সমস্ত প্রক্রিয়া চলবে। সব সদস্য দেশই এ বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছে। ইইউ-এর বাণিজ্য কমিশনারও জানিয়ে দিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা থেকে রাশিয়ার কোনও শিল্পপতি এবং ধনকুবেরই রেহাই পাবেন না। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবেন রাশিয়ার পদস্থ সরকারি এবং সামরিক আধিকারিকরাও।
উল্লেখ্য, ইইউ এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে ইতিমধ্যেই বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, বিভিন্ন বাণিজ্যিক এবং বিমান সংস্থাগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে আগেই। এবার রাশিয়ার শিল্পপতি এবং ধনকুবেরদের ব্যক্তিগত সম্পত্তিও নিষেধাজ্ঞার কবলে।