আগ্রাসনের সঙ্গে সতর্কতা মেশানোই মন্ত্র রোহিতের

ওপেনার হিসেবে এটাই প্রথম টেস্ট ছিল রোহিতের। কার্যত, ব্যর্থ হলে টেস্ট কেরিয়ারই শেষ হয়ে যেতে পারত। কিন্তু তাঁর দিকে ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে রোহিত অগ্নিপরীক্ষায় সফল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৩৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ের প্রধান নায়ক তিনি। রোহিত শর্মা বলে দিচ্ছেন, দল তাঁর কাছে ঠিক যে ধরনের খেলা চাইছে, সেটাই তিনি করে দেখাতে চান।

Advertisement

ওপেনার হিসেবে এটাই প্রথম টেস্ট ছিল রোহিতের। কার্যত, ব্যর্থ হলে টেস্ট কেরিয়ারই শেষ হয়ে যেতে পারত। কিন্তু তাঁর দিকে ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে রোহিত অগ্নিপরীক্ষায় সফল। প্রথম ইনিংসে ১৭৬ করার পরে দ্বিতীয় দফায় ঝোড়ো ১২৭ রান করেন। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে সুনীল গাওস্করের পরে রোহিতই প্রথম ওপেনার, যিনি টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করলেন। বিশাখাপত্তনমে জিতে উঠে ম্যাচের সেরা বলছেন, ‘‘একটা নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে খেলা আমার কাজ। ওরা (টিম ম্যানেজমেন্ট) আমার থেকে সেটাই আশা করছে। সেই দায়িত্ব যাতে পূরণ করতে পারি, তার যথাসাধ্য চেষ্টা আমি চালিয়ে যাব।’’

রোহিত মেনে নিচ্ছেন, ওপেন করার দায়িত্ব যে তাঁকে দেওয়া হতে পারে, বছর দুই আগেই সেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তাই নতুন এই দায়িত্বে তিনি অবাক হননি। ‘‘বছর দুই আগে আমাকে এটা জানানো হয়েছিল যে, ভবিষ্যতে কখনও আমি ওপেন করতে পারি। সেই কারণে নেটে আমি নতুন বলেও অনেক প্র্যাক্টিস করতাম। তাই এখন ওপেন করার দায়িত্ব পেয়ে অবাক হয়েছি, বলব না,’’ মন্তব্য রোহিতের। তিনি নিজে মুখে এ দিন না বললেও জানা গিয়েছে, হেড কোচ রবি শাস্ত্রী তাঁকে এই পরামর্শ প্রথম দিয়েছিলেন। রোহিতকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ওপেন করার কথা ভাবতে শুরু করো। মুম্বইয়ের হয়ে ওপেন করার কথা ভাবতে পারো নিজেকে তৈরি করার জন্য।’’

Advertisement

ওয়ান ডে ক্রিকেটে ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক হলেও টেস্টে নিজের জায়গা কখনও পাকা করতে পারেননি তিনি। ওপেনার হিসেবে প্রথম টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরির পরে অবশ্য রোহিতকে নিয়ে আলোচনাটাই সম্পূর্ণ ঘুরে গিয়েছে। রোহিতও মানছেন, শুরুতে নামার অনেক সুবিধা আছে। ‘‘আমার জন্য এটা দারুণ একটা সুযোগ। আমি এই সুযোগের জন্য কৃতজ্ঞ কারণ আগে কখনও টেস্টে শুরুতে নামিনি,’’ বলে দিচ্ছেন তিনি। আগ্রাসনের সঙ্গে সতর্কতা মিশিয়ে ব্যাটিং করেই সফল হয়েছেন রোহিত। একই সঙ্গে, নিজের স্বাভাবিক খেলাও পাল্টাতে চান না। ‘‘লাল বলে খেলছ কি সাদা বলে, শুরুর দিকে বেশি সতর্ক থাকতেই হবে। প্রাথমিক পাঠ মনে রাখতে হবে, অফস্টাম্পের বাইরের বল ছাড়তে হবে, শরীরের যথাসম্ভব কাছ থেকে খেলতে হবে।’’ বলছেন রোহিত। যোগ করছেন, ‘‘ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমার মন্ত্র হচ্ছে, আগ্রাসনের সঙ্গে সতর্কতা মেশাও।’’ যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত রান তোলার তাগিদের মধ্যে দলকে তিনিই অনেকটা এগিয়ে দেন মাত্র ১৪৯ বলে ১২৭ রান করে। ইনিংসে ছিল দশটি চার এবং সাতটি ছক্কা। সব মিলিয়ে ১৩টি ছক্কা মেরে একটি টেস্টে সর্বাধিক ছক্কা মারার নতুন রেকর্ডও গড়েন তিনি। সঙ্গে ওপেনার হিসেবে প্রথম টেস্টেই জোড়া সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব। রোহিত যদিও রেকর্ড নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না। বলে দিচ্ছেন, ‘‘অনেক রকম নজির হয়েছে শুনেছি। তবে আমি খুব ভাল করে সেগুলো জানি না। আমার লক্ষ্য ছিল, ব্যাটিং উপভোগ করা এবং টিমকে ভাল জায়গায় নিয়ে যাওয়া। মাঠে গিয়ে নিজের সেরাটা দিতে চেয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল টেস্ট ম্যাচটা জেতা এবং আমার মনে হয়, অনেক কিছুই আমরা ঠিক করেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement