কিংবদন্তি: টোকিয়োয় বিজ্ঞাপনী প্রচারে ফেডেরার। সোমবার। ছবি: এএফপি।
টেনিস থেকে অবসর নেওয়ার পরে সমাজকল্যাণমূলক কাজে যুক্ত হতে চান রজার ফেডেরার। তাঁর নতুন স্পনসরের অনুষ্ঠানে এসে টেনিস কিংবদন্তি জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর এই ভাবনার কথা। ফেডেরার বলেছেন, ‘‘অনেক বাচ্চা আছে, যারা স্কুলে যেতে পারে না। অনেকে আছে যারা স্কুলে গেলেও ভাল পড়াশুনোর সুযোগ পায় না। এই সব জায়গায় তফাত গড়ে দিতে চাইবে রজার ফেডেরার ফাউন্ডেশন।’’
কুড়ি বছর ধরে একটি বিখ্যাত ক্রীড়া সরঞ্জাম সংস্থা তাঁর স্পনসর ছিল। সম্প্রতি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে তিনি জাপানের এক সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ফেডেরারকে এখন জাপানে ‘লাকি’ বলা হচ্ছে কারণ এই চুক্তির ঠিক পরেই নেয়োমি ওসাকা তাঁর দেশের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেন যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে। ফ্লাশিং মেডোজে পাঁচ বার জেতা ফেডেরার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন ওসাকার মানসিক শক্তির। ‘‘আমার মনে হয় ইন্ডিয়ান ওয়েলসে জেতার পরে ওসাকার মধ্যে বিশ্বাসটা চলে আসে যে, ও বড় মঞ্চে জিততে পারে। ইন্ডিয়ান ওয়েলস পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম টেনিস কোর্ট। যুক্তরাষ্ট্র ওপেন সব চেয়ে বড়। দুই জায়গাতেই ও সেরা হয়েছে। সেটাই প্রমাণ করে ওসাকার মানসিকতা।’’
ফেডেরারের নতুন চুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্রীড়া দুনিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সরকারি ভাবে ঘোষণা না হলেও শোনা যাচ্ছে, আগের সংস্থার চেয়ে তিন গুণ অর্থে জাপানি স্পনসরের সঙ্গে চুক্তি করেছেন বিশ্বের সব চেয়ে জনপ্রিয় টেনিস তারকা। বছরে ৩০ মিলিয়ন ডলার তাঁর চুক্তির পরিমাণ বলেও জানা গিয়েছে। কুড়িটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক ৩৭ বছরের ফেডেরার শেষ উইম্বলডন থেকেই নতুন স্পনসরের লোগো পরে কোর্টে নামতে শুরু করেন। কেন কুড়ি বছর ধরে সম্পর্ক থাকা আগের সংস্থাকে ছেড়ে তিনি জাপানি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করলেন, তা নিয়ে ফেডেরারের ব্যাখ্যা, ‘‘ওরা আমার সঙ্গে সারা জীবন সম্পর্ক রাখতে চেয়েছে। এক দিন আমি খেলা ছেড়ে দেব। কিন্তু তার পরেও জীবন থাকবে।’’