মেজাজ: মায়ামিতে নামার আগে সাংবাদিক বৈঠকে ফেডেরার।ছবি: এএফপি
ইন্ডিয়ান ওয়েলসে ফাইনালে হেরেও তাঁর বিশ্বর্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর স্থান অপরিবর্তিত রাখতে পেরেছিলেন। কারণ, ওই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠলেই তাঁর শীর্ষস্থান ধরে রাখাটা নিশ্চিত ছিল। এ বার মায়ামি মাস্টার্সে তাঁকে ফের শীর্ষস্থান ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে নামতে হচ্ছে। যে জন্য অন্তত কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে হবে তাঁকে— রজার ফে়ডেরারকে।
তবে, গত বারের চ্যাম্পিয়ন র্যাঙ্কিং নিয়ে অতটা ভাবছেন না। তাঁর প্রধান লক্ষ্য মায়ামি মাস্টার্সের তাজ ধরে রাখা। ফেডেরার বলেছেন, ‘‘র্যাঙ্কিংয়ের ব্যাপারটা আমার মাথায় রয়েছে। তবে খুব বেশি চাপ নিচ্ছি না এটা নিয়ে। র্যাঙ্কিং ধরে রাখাটা আমার ‘মিনি লক্ষ্য’। খুব ভাল হবে এক নম্বরে থাকতে পারলে। তবে এ টুকুই। এর চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না এ ব্যাপারটাকে।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘আসল কথা হল ম্যাচ জেতা। ম্যাচ জিতে এক নম্বর জায়গাটা ধরে রাখা। এতে আমার লক্ষ্য তাড়া করতে আমি অনুপ্রেরণা পাই। তবে না পারলে সব তো আর শেষ হয়ে যাবে না।’’
শনিবার ফেডেরার মায়ামি মাস্টার্স অভিযান শুরু করবেন বাছাই পর্ব থেকে উঠে আসা কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে। তার আগে সুইস মহাতারকা চোট সামলে খুয়ান মার্টিন দেল পোত্রোর টেনিস সার্কিটে দুরন্ত প্রত্যাবর্তনের প্রশংসা করেন। ‘‘মাঝে মাঝে দূর থেকে দেখলে আমার মনে হয়, অস্ত্রোপচারের পরে ওর প্রত্যাবর্তনটা কতটা কঠিন ছিল। চোট থাকলে অনেক সময় মনে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়, আমি ফের কোর্টে ফিরতে পারব তো? সেই ভয়টা কাটিয়ে উঠে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া সোজা নয়,’’ বলেন ফেডেরার। সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত খুয়ান সেটা পেরেছে। তার জন্য পরিশ্রম কম করেনি। জানত, সব ম্যাচ জিততে পারবে না হয়তো। তবু লেগে থেকেছে। এর জন্য খুয়ানের বিরাট সম্মান প্রাপ্য।’’
এ দিকে মেয়েদের সিঙ্গলসে তৃতীয় রাউন্ডে উঠেছেন বিশ্বের এক নম্বর সিমোনা হালেপ। তিনি হারান ফ্রান্সের ওসিয়ান ডোডিনকে। ফল, ৩-৬, ৬-৩, ৭-৫। তৃতীয় রাউন্ডে উঠেছেন দশম বাছাই অ্যাঞ্জেলিক কের্বেরও। তিনি স্ট্রেট সেটে হারান সুইডেনের জোহানা লারসনকে। বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর কের্বেরের তৃতীয় রাউন্ডে লড়াই রাশিয়ার ২৩ নম্বর বাছাই আনাস্তাসিয়া পাভলিউচেঙ্কোভার বিরুদ্ধে। পঞ্চম বাছাই চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা প্লিসকোভা আবার রাশিয়ার একাতেরিনা মাকারোভাকে ৭-৫, ৭-৫ হারিয়ে দিয়েছেন।