লক্ষ্য: সিনসিনাটির সূচি দেখে দারুণ খুশি রজার ফেডেরার। ফাইল চিত্র
লক্ষ্য অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র ওপেন। একটু দেরিতেই প্রতিযোগিতায় নেমে তার প্রস্তুতি শুরু করলেন রজার ফেডেরার। এ’মরসুমে প্রথম বার তাঁকে হার্ড কোর্টে খেলতে দেখা যাবে সিনসিনাটিতে। ফেডেরার অবশ্য বলছেন, ‘‘টরোন্টোয় খেলিনি ঠিকই কিন্তু প্রস্তুতিতে ফাঁক রাখিনি।’’
এখানেই শেষ নয়।
বিশ্বের দু’নম্বর এমনও বলছেন, সিনসিনাটিতে নামতে নাকি তিনি উন্মুখও, ‘‘এখানে খেলব বলে কবে থেকে ছটফট করছি। আর টরোন্টোতে খেলিনি তো শরীরের কথা ভেবে। বেশি ধকল আজকাল নিতে পারি না। চোট পাওয়ার ভয় থাকে। এখন আর আগের মতো অত বেশি খেলাও সহ্য হয় না।’’
ধকল সহ্য হয় না বললেও কিংবদন্তি তারকা এটা জানাতেও ভোলেননি, কোর্টে না নেমে সারাক্ষণ খেলা দেখে যাওয়াটাও তাঁর পক্ষে বিরক্তিকর, ‘‘অত দূরে বসে টিভিতে খেলা দেখে যাওয়াও কি আর ভাল লাগে! কিন্তু কিছু তো করারও নেই। বয়স বাড়লে এ সব আমাকে মেনে নিতেই হবে।’’
সিনসিনাটিতে তাঁর প্রথম প্রতিপক্ষ জার্মানির পিটার গয়েফচিক। হার্ড কোর্টে তিনি শেষ খেলেছিলেন প্রায় দেড়শো দিন আগে। শেষ খেলেছিলেন মায়ামিতে থানাসি কোকিনাকিসের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ কিন্তু হেরে যান ফেডেরার। ‘‘অতীত নিয়ে ভাবছি না। ভালও লাগে না। এই প্রতিযোগিতাটায় খেলব বলে আমি মনে মনে উত্তেজিত। আশা করছি, সব কিছু ঠিকঠাকই এগোবে।’’
ফেডেরার জানাচ্ছেন ট্যুর চলাকালীন মাঝে মাঝেই তাঁর বিশ্রামে চলে যাওয়ার একটাই কারণ। খেলোয়াড় জীবনটা আর একটু লম্বা করা। ‘‘এখন সব দিক বিচার করার সময়। এখন আমার পক্ষে ছুটিতে যাওয়াটা খুব সহজ। সব সময় দারুণ কিছু করার তাগিদ আর নেই। ইচ্ছে থাকলেও আগের মতো সব জায়গায় খেলাও আর সম্ভব নয়। পরিবারকেও এখন অনেক বেশি সময় দিতে পারছি। ভালও লাগছে। এটার দরকারও ছিল। সেই পাগলের মতো সূচির পিছনে দৌড়নো এখন আমার জীবন থেকে মুছে গিয়েছে,’’ বলেছেন রজার। সঙ্গে জানাচ্ছেন, রাফায়েল নাদাল সিনসিনাটিতে খেলবেন না বলে তিনি হতাশ। কিংবদন্তির মন্তব্য, ‘‘রাফা খেলবে না ভাবলে বেশ খারাপ লাগছে। তবে এখানকার সূচি কিন্তু আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।’’