টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রথম শতরানের পর বিবেক। ছবি : বিসিসিআই
গুগল অনুসারে কলকাতা থেকে সিডনির দূরত্ব ৯,১৩৩ কিলোমিটার। যদিও তাঁদের ভাবনাচিন্তার মধ্যে অনেক মিল। একজন ঋষভ পন্থ। অন্যজন বিবেক সিংহ। কাকতলীয় ব্যাপার হল দুজনেই আবার বাঁহাতি। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রবল চাপের মুখে থাকলেও চুপসে না গিয়ে কাউন্টার অ্যাটাক শুরু করেন পন্থ। ফলে ব্যাকফুটে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া। ঐতিহাসিক সিডনি টেস্টের পরের দিন বিবেক সেই একই স্ট্র্যাটেজি নিলেন। ভেন্যু ইডেন গার্ডেন্স। প্রতিপক্ষ ঝাড়খণ্ড। ফরম্যাট টেস্ট নয়। বরং বিবেকের খুব পছন্দের টি-টিয়েন্টি।
একে একে দ্রুত সাজঘরে ফিরতে থাকেন অনুষ্টুপ, মনোজ, শাহবাজরা। চাপ বাড়াতে থাকে প্রতিপক্ষ। তবে শাহবাজ নদিমদের বোলিংকে একাই বুঝে নিয়ে টি-টিয়েন্টি ফরম্যাটে প্রথম শতরান করলেন। খেললেন মাত্র ৬৪ বল। ১৩টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল। স্ট্রাইক রেট ১৫৬.২৫! তাঁর ব্যাটিংয়ে তান্ডবের উপর ভর করেই ১৬ রানে জিতল বাংলা। আনন্দবাজার ডিজিটালকে বিবেক বলছিলেন, "পন্থের ওই ইনিংস অল টাইম স্পেশ্যাল। টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে এমন বিস্ফোরক ইনিংস সচরাচর দেখা যায় না। পন্থের ইনিংস আমাদের সবার কাছে শিক্ষণীয়। ও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ব্যাটিং করলে বিপক্ষ সবসময় পিছিয়ে যায়। সেটাই করে সাফল্য পেলাম।"
আরও পড়ুন: বিস্ফোরক মেজাজে বিবেকের প্রথম শতরান, ঈশানের তিন উইকেট, ঝাড়খণ্ডকে হারিয়ে শীর্ষে বাংলা
চাকরি বড় বালাই। তাই কয়েক বছর আগে রেলওয়েজ চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলার টানে আবার ফিরে আসা। অবশ্য তাঁর বাবা বীরেন্দ্র সিংহ চেয়েছিলেন ছেলে যেন বাংলায় ফিরে আসে। যেমন কথা তেমন কাজ। তাই তো প্রথম শতরান বিবেক তাঁর বাবা ও কোচ অরুণলালকে উৎসর্গ করলেন। বললেন, "ওঁদের জন্যই এই জায়গায় আসতে পেরেছি। তাই ওঁদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকব। অরুণ স্যার আমাকে খোলা মনে ব্যাট করতে বলেছিলেন। ওনার পেপটকে সাফল্য পেলাম।"
দুই ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বাংলা। ওড়িশার পর ঝাড়খণ্ড বধ সম্পন্ন। এবার প্রতিপক্ষ দীনেশ কার্তিকের তামিলনাড়ু। ১৮ জানুয়ারি ফের নামবে বাংলা। প্রথম ম্যাচে ৫৪ রানের অপরাজিত থাকার পর এবার অপরাজিত শতরান। বিপক্ষকে হুঙ্কার দিয়ে বিবেক জানালেন, "আমরা এনজয় করার জন্য মাঠে নামি। এটা অন্য বাংলা দল। যারা বিপক্ষের বড় নাম দেখে ঘাবড়ে যায় না।"
দীনেশ কার্তিক কী চাপ অনুভব করছেন!
আরও পড়ুন: ৪ উইকেট নেওয়া ঈশান নিজেকে দশে চার নম্বর দিচ্ছেন