কিংবদন্তি: এক সময়ের সতীর্থ ম্যাকগ্রার সঙ্গে এই ছবি টুইট করলেন পন্টিং।
আইসিসি যে চার দিনের টেস্ট খেলার প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে সায় নেই অনেক বর্তমান এবং প্রাক্তন ক্রিকেটারের। এই তালিকাটা ক্রমশ বাড়ছে। প্রথমেই চার দিনের টেস্টের বিপক্ষে কথা বলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেন। পরে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালিও একই কথা বলেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রাও বলেছিলেন, তিনি চান টেস্ট ম্যাচ পাঁচ দিনেরই থাক। সচিন তেন্ডুলকর থেকে শুরু করে নেথান লায়ন— কারওই সায় নেই চার দিনের টেস্টে।
এ বার একই কথা শোনা গেল অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের মুখেও। ক্রিকেট বিশ্ব যাঁকে পান্টার বলেও চেনে। রবিবার সিডনিতে পন্টিং বলেছেন, ‘‘আমিও চার দিনের টেস্টের বিপক্ষে। তবে যাঁরা টেস্ট ম্যাচকে পাঁচ দিনের বদলে চার দিনে নামিয়ে আনতে চাইছেন, আমি তাঁদের যুক্তিটাও এক বার শুনতে চাই।’’ আইসিসির পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ সাল থেকে চার দিনের টেস্ট ম্যাচ চালু হওয়ার কথা। যা হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্গত।
পন্টিং মনে করছেন, চার দিনের টেস্ট হলে ড্রয়ের সংখ্যাটা আরও বেড়ে যাবে। তিনি বলছেন, ‘‘আমি জানি, গত দু’বছরে চার দিনে শেষ হয়ে যাওয়া টেস্টের সংখ্যা প্রচুর। কিন্তু আমার মনে একটা প্রশ্ন জেগেছে। গত এক দশকে যত টেস্ট ড্র হয়েছে, চার দিনের ম্যাচ হলে সেই সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াত? আমি জানি, পাঁচ দিনের টেস্টে খরচ অনেক বেশি হয়। জানি, আইসিসি চাইছে, বৃহস্পতিবার টেস্ট শুরু করে রবিবার শেষ করে দিতে। কিন্তু একটা ব্যাপার মাথায় রাখতেই হবে। ড্র কিন্তু কেউ দেখতে চায় না।’’
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন এই অধিনায়ক মনে করেন, টেস্ট ক্রিকেটের কাঠামো নিয়ে এত বেশি রদবদলের কোনও প্রয়োজন নেই। পন্টিংয়ের মন্তব্য, ‘‘আমি একটু প্রাচীনপন্থী। তাই আমার মনে হয় এই কারণগুলো টেস্টের দিন কমানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়। আমি আরও কারণ শুনতে চাই।’’
পন্টিং নিজে এমসিসি ক্রিকেট কমিটির সদস্য। যে কমিটি বছর দুয়েক আগে চার দিনের টেস্ট করার প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছিল। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে পন্টিং বলেছেন, ‘‘দু’-তিন বছর আগে ফিরে যাওয়া যাক। আমাদের কমিটিতে চার দিনের টেস্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। একটা মিটিংয়ে এই নিয়ে ভোটাভুটিও হয়েছিল। বেশির ভাগই চার দিনের টেস্টের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল।’’
রবিবার আবার সিডনিতে ছিল জেন ম্যাকগ্রা দিবস। স্তন ক্যানসারে প্রয়াত গ্লেন ম্যাকগ্রার স্ত্রী জেনের স্মৃতিতে এবং ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশনের জন্য অর্থ তুলতে আয়োজন করা হয় এই গোলাপি টেস্টের। এ দিন নিজেদের গোলাপি টুপি ম্যাকগ্রার হাতে তুলে দেন দু’দলের ক্রিকেটারেরা। যে ভাবে ক্যানসারের বিরুদ্ধে ম্যাকগ্রা এই লড়াই চালাচ্ছেন, তাতে মুগ্ধ পন্টিং। ম্যাকগ্রার সঙ্গে একটি ছবি টুইট করে এক সময়কার সহযোদ্ধা সম্পর্কে পন্টিং লিখেছেন, ‘‘রবিবার ছিল সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে একটা বিশেষ দিন। যে ভাবে গ্লেন এবং ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশন কাজ করে, তা সত্যি অসাধারণ। এই প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে আমি সম্মানিত।’’