—প্রতীকী চিত্র।
বরাবর সবুজ মেরুনের কট্টর সমর্থক। এ দিন ম্যাচের পর তাই একটু আফসোস হচ্ছে। তার কারণ অনেকগুলো সুযোগ এদিন মিস করেছি আমরা। আজহারউদ্দিন মল্লিক প্রথম গোলের নায়ক হলেও এদিন আরও দুটো গোলের সুযোগ মিস করেছে। তা ছাড়া দিনের সেরা সুযোগ মিস করেছে কামো স্টিফেন বায়ি। লুইস ব্যারেটোকে মুখোমুখি পেয়ে জালে বল ঠেলতে পারেনি।
তবে দুই পক্ষের খেলাই উপভোগ করেছি। উত্তেজনাপূর্ণ ডার্বি ম্যাচ। ফুটবলপ্রেমীরা সকলেই আনন্দ পেয়েছেন বলেই মনে হয়। শিলিগুড়িতে চারটি ডার্বির মধ্যে মাঠে লড়াইয়ের দিক থেকে এটাই সেরা বলে মনে হয়। এ দিন ম্যাচে আধিপত্য কিন্তু মোহনবাগানই দেখিয়েছে। তবে উদ্যোক্তা আইএফএ’কে মনে হয় আরও ভাবতে হবে ডার্বিতে রেফারিং নিয়ে। এ ধরনের ডার্বিতে উত্তেজনা থাকবেই। কলকাতার দুই প্রধান দলের খেলা। সে কারণে রেফারি হিসাবে রাজ্যের বাইরে থেকে কাউকে রাখলেই ভাল হয় বলে মনে করি। রেফারির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এটা ভাল কথা নয়। ফিফার প্যানেলের রেফারি হলে ভাল হয়।
রেফারি কিংশুক দেবনাথকে লাল কার্ড দেখালেন। পরে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখালেন। দুটি পেনাল্টি দেওয়া নিয়েও সন্দেহ আছে। মনে হয়েছে এক পক্ষকে পেনাল্টি দিচ্ছেন, লাল কার্ড দেখাচ্ছেন আবার পরে অন্যপক্ষকে পেনাল্টি দিযে পুষিয়ে দিচ্ছেন।
(মোহনবাগান সমর্থক। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া পর্ষদের সচিব)