রিয়েল মাদ্রিদ রক্ষণকে পরাস্ত করে এগোচ্ছে সেল্টার ফুকান্ডো। ছবি: এপি।
খারাপ সময়ের শুরু কি আগের ম্যাচ থেকেই হয়ে গিয়েছিল রিয়েল মাদ্রিদের? না হলে ৪০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর এই হাল কেন হল? ১৬ জানুয়ারি সেভিয়ার কাছে ২-১ গোলে হারের ঠিক তিনদিন পর সেল্টা ভিগোর কাছেও ২-১ গোলে হারের মুখ দেখল রোনাল্ডোর দল। সেদিন গোল পেয়েছিলেন রোনাল্ডো। এদিন গোল পেলেন মার্সেলো। কিন্তু হার বঁচাতে পারলেন না কেউই। মাদ্রিদের ঘরের মাঠে আবারও হার রিয়েলের। শুরুটা করেছিল সেল্টা শেষও করে গেল সেল্টাই।
আরও খবর: রোনাল্ডোদের ৪০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার দৌড় থামিয়ে দিল সেভিয়া
কোপা দেল রে-র ম্যাচের প্রথমার্ধটা ছিল একে অপরকে মেপে নেওয়ার। সেল্টার সামনে ছিল হাই প্রোফাইল টিম সঙ্গে ঘরের মাঠে মাদ্রিদকে আটকানো। সেটা যে জয় হয়ে ফিরে আসবে সেটা কে জানত। স্বপ্নেও হয়তো এই হারের কথা ভাবেননি রিয়েল ফ্যানরা। কিন্তু ঘরের মাঠে বসে দেখতে হল রিয়েল মাদ্রিদের হার। পর পর দুটো হার। প্রথমার্ধে কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। তেমনভাবে গোলের সুযোগও তৈরি হয়নি। ম্যাড়ম্যাড়ে প্রথমার্ধ বদলে গেল দ্বিতীয়ার্ধের তিন গোলে। ৬৪ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলটি করে যান সেল্টার অসপাস জুনকাল। বাঁ দিক থেকে উড়ে আসা ক্রসের নাগাল বক্সের মধ্যে পেলেও তা পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে পারেননি মার্সেলো। সেই বল পেয়ে যান আসপাস। সেখান থেকে গোলকিপারকে কাটিয়ে অসপাসের শট আটকাতে পারেনি মাদ্রিদের শেষ রক্ষণও।
রিয়েল গোলে শট নিচ্ছেন অসপাস। ছবি: এপি।
যদিও সেল্টার এই এগিয়ে যাওয়া বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সেই গোল শোধ করে দেন মার্সেলো ভিয়েরা। ডানদিক থেকে উড়ে আসা একটি ক্রস একই রকমভাবে পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় সেল্টার ডিফেন্স। ফিরতি সেই বলে বক্সের বাইরে থেকেই মার্সেলোর জোড়ালো শট চলে যায় গোলে। তবে এখানেই শেষ নয় চমকের। ঠিক এক মিনিটের মধ্যেই ২-১ করে দেয় সেল্টা। অসপাসের সোলো রান শেষ হয় বক্সের বাইরে জোনাথনকে বল বাড়িয়ে। জোনাথনের পাশেই তখন দৌঁড়চ্ছিলেন সার্জিও র্যামোস। কিন্তু বলের নাগাল পাননি তিনি। জায়গা ছেড়ে অনেকটাই বাইরে এসে দাঁড়িয়েছিলেন রিয়েল গোলকিপার ক্যাসিলা। সেই সুযোগেই তাঁর পাস কাটিয়ে সেই বল গোলে পাঠান জোনাথন। খেলা শেষ হয়ে যায় এখানেই। যদিও হাতে তখনও ২০ মিনিট বাকি ছিল। যা কাজে লাগাতে ব্যর্থ রিয়েল মাদ্রিদ। খুঁজে পাওয়া গেল না রোনাল্ডোকেও।