ফাইল চিত্র।
আর্থিক ক্ষতি সত্ত্বেও বিশ্বের সব চেয়ে দামি ফুটবল ক্লাবের তালিকায় শীর্ষ স্থানেই সদ্য লা লিগা জেতা জ়িনেদিন জ়িদানের রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় স্থানে লিয়োনেল মেসিদের বার্সেলোনা। ইপিএলের শেষ দিনে এসে পরের মরসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও দর কমে গিয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলির মধ্যে তারাই এখনও সব চেয়ে মূল্যবান। কিন্তু খেতাব জিতে তাদের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে য়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল।
এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ফুটবল ক্লাবগুলি আর্থিক ভাবে কোথায় রয়েছে তার তালিকা বুধবারই প্রকাশিত হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে তৈরি হওয়া মন্দার বাজারে প্রথম পঞ্চাশটি ক্লাবের প্রত্যেকের বাজারি মূল্য কমেছে। গত ছয় বছরে এই প্রথম এতটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে বিশ্বের সব নামী ফুটবল ক্লাবগুলিকে।
ইংল্যান্ডের একটি সংবাদপত্রের প্রকাশ করা ‘ব্র্যান্ড ফিন্যান্স রিভিউ’ অনুযায়ী, শীর্ষে থাকা লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের দর ১৩.৮ শতাংশ কমে গিয়েছে। অর্থাৎ, ২০৫ মিলিয়ন পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৯৯ কোটি) কমে গিয়েছে। খেতাব হারালেও বার্সেলোনার দর এই মন্দার বাজারেও ১.৪ শতাংশ (১৮.১ মিলিয়ন পাউন্ড, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৭৬ কোটি টাকা) বেড়েছে।
সব চেয়ে দামি দশ
রিয়াল মাদ্রিদ ১২,৪৯৪ কোটি
বার্সেলোনা ১২,৪২৮ কোটি
ম্যান ইউ ১১,৫৪৯ কোটি
লিভারপুল ১১,০৯৩ কোটি
ম্যান সিটি ৯,৮৮৬ কোটি
বায়ার্ন মিউনিখ ৯,২৯৮ কোটি
পিএসজি ৮,৫১১ কোটি
চেলসি ৮,৩৪৫ কোটি
টটেনহ্যাম ৬,৮৯৭ কোটি
আর্সেনাল ৬,৩২৫ কোটি
* সব অঙ্ক টাকায়
দর কমলেও ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে ম্যান ইউ। ১০.৭ শতাংশ, অর্থাৎ ১৪৩ মিলিয়ন পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩৯ কোটি) ক্ষতি হয়েছে পল পোগবাদের। তিরিশ বছর পরে লিগ জিতে ইপিএলের ক্লাবগুলির মধ্যে দরের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে মহম্মদ সালাহ, সাদিয়ো মানেদের ‘দ্য রেড্স’। ৬ শতাংশ, অর্থাৎ ৬৪.৩ মিলিয়ন পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৩ কোটি) লাভ করে বিশ্বের সব চেয়ে দামি ক্লাবের তালিকায় চতুর্থ স্থানে লিভারপুল। এর পরেই রয়েছে ইংল্যান্ডের আর এক ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। তাদের ক্ষতির পরিমাণ ১০.৪ শতাংশ, অর্থাৎ ১১৮ মিলিয়ন পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১১৫ কোটি)।
জার্মান বুন্দেশলিগা জয়ের রেকর্ড গড়ার পরেও দর কমে গিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখের। ১৯.৬ শতাংশ, অর্থাৎ ২৩৩ মিলিয়ন পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২২৭ কোটি) ক্ষতি হয়েছে রবার্ট লেয়নডস্কি, থোমাস মুলারদের ক্লাবের। দর কমেছে চেলসি, আর্সেনালেরও। তবে এই মন্দার বাজারেও নেমার-এমবাপের মতো তারকা-সমৃদ্ধ প্যারিস সাঁ জারমাঁ এবং সদ্য জোসে মোরিনহোকে কোচ করে নিয়ে আসা টটেনহ্যাম হটস্পারের দর বেড়েছে। টটেনহ্যামে হ্যারি কেনের মতো তারকা আছেন, সেটাও ফুটবলের বাজারে তাদের আকর্ষণ বাড়িয়ে থাকতে পারে।