লড়াই: জাডেজার ৪০ দলের রান ৩৫০ পার করাল। ছবি পিটিআই।
দ্বিতীয় দিনের সকালে হঠাৎই দু’টি দ্রুত উইকেট চাপ ফিরিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় শিবিরে। ১২৯ রান করে ফিরে যায় কে এল রাহুল। বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দেয় অজিঙ্ক রাহানে। এই পরিস্থিতি থেকে ভারতকে ফের টেনে তোলার জন্য প্রয়োজন ছিল একটি জুটির। হতাশ করেনি ঋষভ পন্থ ও রবীন্দ্র জাডেজা। ৪৯ রানের জুটি গড়ে চাপ ফিরিয়ে দেয় ইংল্যান্ড শিবিরে। ভারতকে সাড়ে তিনশো রানের গণ্ডি পেরোতেও সাহায্য করে এই জুটি।
পন্থকে দেখে নিশ্চয়ই অন্য টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলো হিংসে করে। তাদের দলে কেন এমন এক জন নেই, যে একা হাতে ম্যাচের রাশ পাল্টে দিতে পারে। ঋষভের মধ্যে এই দক্ষতা আছে বলেই ভারতীয় দলের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে। মেঘলা আবহাওয়ার তোয়াক্কা না করেই জেমস অ্যান্ডারসন ও অলি রবিনসনকে স্টেপ আউট করে কভার অঞ্চল দিয়ে রান কুড়োতে থাকল। এই পরিস্থিতিতে বিপক্ষ অধিনায়কের কাজ কঠিন হয়ে যায়। আক্রমণ করতে গিয়ে ফিল্ডারদের কাছে নিয়ে আসে। মাঠে প্রচুর ফাঁক তৈরি হয়। সেই ফাঁক দিয়েই রান করে গেল পন্থ।
জাডেজার কথাও ভুললে চলবে না। নীচের সারির ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কী ভাবে রান করতে হয়, তা ওর চেয়ে ভাল অনেকেই জানে না। ইশান্তের সঙ্গে ২৬ রানের জুটি কিন্তু ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। আর অশ্বিনের আগে কেন জাডেজার নাম ভাবা হয়, তা আরও এক বার প্রমাণ করে দিল ও। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডও স্বস্তিতে নেই। ২৩ রানের মাথায় দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল জো রুটরা। পরপর দু’বলে মহম্মদ সিরাজ ফিরিয়ে দেয় ডম সিবলি ও হাসিব হামিদকে। সেখান থেকে ৮৫ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ড শিবিরে কিছুটা স্বস্তি দেয় রুট ও রোরি বার্নস। খেলা শেষ হওয়ার চার ওভার আগে দ্বিতীয় স্পেল বল করতে এসে বড় ধাক্কা দিয়ে যায় শামি। ফিরিয়ে দেয় উইকেটে থিতু হওয়া বার্নসকে। তৃতীয় দিন রুটকে দ্রুত ফিরিয়ে দিলেই কাজ সহজ হয়ে যাবে বিরাটদের।