Ravichandran Ashwin

‘কেরিয়ারের সেরা সময়’, সঙ্গাকারাকে ২৩ বলে ৪ বার আউট করা নিয়ে বললেন অশ্বিন

বিশ্ব জুড়ে অফস্পিনারদের বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার কুমার সঙ্গাকারা। কিন্তু অশ্বিনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে ২৩ বলে চার বার আউট হয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০ ১১:২৯
Share:

৭১ টেস্টে ৩৬৫ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

অফস্পিনারদের বিরুদ্ধে কুমার সঙ্গাকারার কেরিয়ার রেকর্ড দুর্দান্ত। কিন্তু রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বিরুদ্ধে তিনি সফল নন একেবারেই। বরং ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে অশ্বিনের বলে চার বার আউট হয়েছিলেন টেস্ট সিরিজে। আর সেটাও মাত্র ২৩ বলের ব্যবধানে!

Advertisement

পরিসংখ্যান অনুসারে পাকিস্তানের সঈদ আজমলের বিরুদ্ধে সঙ্গাকারার গড় ১৩২.৭৫। ভারতের হরভজন সিংহের বিরুদ্ধে গড় ৯৯.৩৩। অস্ট্রেলিয়ার নেথান লায়নের বিরুদ্ধে গড় ৬১। মানে, বিশ্ব জুড়ে অফস্পিনারদের বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার এই বাঁ-হাতি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। অফস্পিনারদের বিরুদ্ধে খেলা উপভোগ করতেন তিনি। মুথাইয়া মুরলীথরনের বলে উইকেটকিপিং করতেন বলে অফস্পিন সম্পর্কে গড়ে ওঠা ধারণা ব্যাট হাতে সাহায্য করত বলে জানিয়েছিলেন নিজেই। কিন্তু সেই তিনিই সমস্যায় পড়েছিলেন অশ্বিনকে সামলাতে।

কেন এমন হয়েছিল? রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেছেন, “মুরলী ও আজমলের মতো বোলাররা ছিল অন্য ধরনের। ওদের দুসরা ও অফব্রেকের মধ্যে বৈচিত্র থাকত। প্রথাগত অফস্পিনারদের থেকে ওরা একেবারেই আলাদা ছিল। ট্র্যাডিশনাল অফস্পিনাররা ওভার দ্য টপ বল করে স্পিন-বাউন্স আদায়ের চেষ্টা করত। মুরলী ও সঈদ আজমল এমন ভাবে বল করত যে ব্যাটসম্যানরা ওদের বুঝতে পারত না।”

Advertisement

আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ার রূপান্তরের অনুঘটক সৌরভই, আমি ওর ফ্যান: লয়েড​

আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় দলে যদি একটা বেন স্টোকস থাকত...’​

চেন্নাইয়ের অফস্পিনার আরও বলেছেন, “সুনীল নারিনও অনেকটা একই ধরনের। বাতাসে বোকা বানানো নয়, ও চেষ্টা করে বল ছাড়ার সময় হাতের মাধ্যমে বৈচিত্র আনতে। যাঁরা ওদের হাত থেকে স্পিন ধরতে পারবে, তাঁদের সুবিধা হবে খেলতে। যেমন মুরলীকে সহজেই খেলত বীরেন্দ্র সহবাগ।”

২০১৫ সালে ভারতের শ্রীলঙ্কা সফরের প্রসঙ্গ টেনে এনে অশ্বিন বলেছেন, “আমি তখন ছিলাম জীবনের সেরা ফর্মে। সেই কারণেই নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে কররি। স্বপ্নের মতো হাত থেকে বল বেরিয়ে আসছিল। কোনও কিছু ভাবতেই হচ্ছিল না। আমার পুরো অ্যাকশন ও ছন্দ ছিল দুর্দান্ত। আর সঙ্গাকে কয়েকটা ভাল বলের মুখে পড়তেও হয়েছিল। বাঁ-হাতিদের বিরুদ্ধে স্বপ্নের মতো বল করছিলাম। শ্রীলঙ্কায় বল করতে ভালওবাসতাম। ওখানের পিচে বড় স্পিন হয় না। কিন্তু ভাল বাউন্স থাকে। স্লিপে পৌঁছয় খোঁচা। সেটা ছিল সঙ্গাকারার কেরিয়ারের শেষের দিক। আর আমার কেরিয়ার সবে গতি পাচ্ছিল। সঙ্গার বিরুদ্ধে বল করেছিলাম কেরিয়ারের একবারে সঠিক সময়ে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement