প্রত্যয়ী: বোলার নয়, বলের মান অনুযায়ী ব্যাট করতে চান ঋদ্ধি।
শেষ বার বাংলা রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল খেলছিল ১৩ বছর আগে। কিন্তু সচিন তেন্ডুলকরের মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাংলা। তাঁরা কেউই নেতৃত্ব দেননি। কিন্তু দলের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করেছিলেন। সে বারের বাংলা দলের একজনই বর্তমান দলের সদস্য। তিনি মনোজ তিওয়ারি।
সে সময় মনোজ উঠতি তারকা। একের পর এক ইনিংস খেলে চমকে দিচ্ছেন। এখন তিনি অভিজ্ঞ। বাংলার তরুণ ব্রিগেডের অনেকেই তাঁকে অনুসরণ করেন। এমনকি মনোজ তিওয়ারির উপরে অনেকটাই নির্ভর করে বাংলার রানের গতি। উপরের সারির ব্যাটসম্যানেরা বোর্ড সচল রাখতে না পারলে মনোজ দায়িত্ব নেন রানের গতি বাড়ানোর। কিন্তু সেমিফাইনালে স্লিপে ক্যাচ নেওয়ার সময় আঙুলে আঘাত পান মনোজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার পরে আঙুলের সমস্যা আরও বাড়ে। ফাইনালে নামতে পারবেন কি না তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার খোঁজ নিয়ে জানা গেল, আঙুলের ব্যথা অনেকটা কমেছে। ফাইনালে তিনি ছন্দ ফিরে পেলে দু’দলের মধ্যে অনায়াসে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। কিন্তু বিপক্ষের সব চেয়ে বড় ত্রাস জয়দেব উনাদকাট। চলতি মরসুমে ৬৫ উইকেট নিয়ে নজির গড়েছেন। তাঁকে কী ভাবে সামলাবে বাংলা?
মনোজের উত্তর, ‘‘ওদের উনাদকাট ছাড়া বড় নাম নেই। ওরা বিপক্ষকে গতিতে পরাস্ত করতে পারবে না। সমস্যা তৈরি করবে সুইং দিয়ে। উনাদকাটকে উইকেট দেওয়া যাবে না। তা হলে ওদের মনোবল এমনিতেই নষ্ট হয়ে যাবে।’’ যোগ করেন, ‘‘শেষ দু’টি ম্যাচে বড় শট নিতে গিয়ে আউট হয়েছি। ফাইনালে উইকেটে টিকে থাকার চেষ্টা করব।’’
এ দিকে বৃহস্পতিবারই নিউজ়িল্যান্ড থেকে শহরে এসেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। প্রথম বার রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল খেলার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না। এই ম্যাচের সঙ্গে জড়িয়ে আবেগ ও নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই। ঋদ্ধি যদিও সে সব নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য বাংলাকে চ্যাম্পিয়ন করা। আনন্দবাজারকে ফোনে বলছিলেন, ‘‘বাংলার বেশির ভাগ ম্যাচের হাইলাইটস দেখেছি। খুব ভাল লাগছে দেখে, পেস বিভাগ ও ফিল্ডিং এতটা উন্নতি করেছে। স্লিপ ক্যাচিং দেখে আমি মুগ্ধ।’’
কিন্তু সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফাইনালে জয়দেব উনাদকাটকে কী ভাবে সামলানোর পরিকল্পনা তাঁর? ঋদ্ধির উত্তর, ‘‘বোলারের নাম দেখে খেললে ব্যর্থতা অনিবার্য। বলের মান অনুযায়ী ব্যাট করা উচিত। আমাদের উপরের সারির ব্যাটসম্যানেরা রান পাচ্ছে না ঠিকই। কিন্তু ভয় পেলে ব্যর্থতার সম্ভাবনা আরও বেশি। তাই উনাদকাট নিয়ে ভাবতে চাই না। বলের মান অনুযায়ী খেলব।’’