রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে পৌঁছনোর পরে উচ্ছ্বসিত বাংলার ক্রিকেটাররা। ছবি: পিটিআই।
রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে বাংলা। মঙ্গলবার ইডেনে রঞ্জি সেমিফাইনালে কর্নাটককে ১৭৪ রানে হারাল অভিমন্যু ঈশ্বরনের দল। কর্নাটকের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হল ১৭৭ রানে। মুকেশ কুমার নেন ৬ উইকেট। ঈশান পোড়েল ও আকাশদীপ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এ দিন সকালে প্রথমেই মণীশ পান্ডে (১২)-কে ফেরান মুকেশ। মণীশের ক্যাচ নেন শ্রীবৎস গোস্বামী। মুকেশের পরের শিকার সিদ্ধার্থ (০)-র উইকেট। পরের বলেই মুকেশ ফেরান শরথ (০)-কে। ১০৩ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় কর্নাটকের।
আরও পড়ুন: আগ্রাসী উল্লাস-ভঙ্গি নিয়ে প্রশ্নে ক্ষুব্ধ বিরাট, পাশে কেন
ইডেনের পিচে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন মুকেশ। তাঁর শিকার দেবদূত (৬২)। কর্নাটককে টানছিলেন দেবদূতই। তিনি ফেরায় বাংলার জয় নিয়ে আর কোনও সংশয় ছিল না। এর পরে ঈশান পোড়েল ফেরান গৌতম (২২)-কে। ফের আঘাত হানেন মুকেশ। রণিত মোরে (৪)-কে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। শেষ উইকেটে ৩০ রান যোগ করেন অভিমন্যু মিঠুন (৩৮) ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ । প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ অপরাজিত থাকেন ২ রানে। অভিমন্যু মিঠুনকে ফিরিয়ে কর্নাটকের ইনিংস শেষ করেন আকাশদীপ।
আরও পড়ুন: ধোনি কার থেকে হেলিকপ্টার শট শিখেছিলেন জানেন?
ইডেনে শনিবার টস জিতে বাংলাকে প্রথম ব্যাট করতে পাঠায় কর্নাটক। প্রথম ইনিংসে বাংলা ৩১২ রান করে, তার মধ্যে অনুষ্টুপ মজুমদার ১৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১২২ রানে অল আউট হয়ে যায় কর্নাটক। ঈশান পোড়েল ৫টি উইকেট নেন। বাংলা প্রথম ইনিংসে লিড পায় ১৯০ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা ১৬১ রানে অল আউট হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে সুদীপ চট্টোপাধ্যায় করেন ৪৫ রান।৪১ রান করেন অনুষ্টুপ ফাইনালে যেতে দ্বিতীয় ইনিংসে কর্নাটককে করতে হত ৩৫৩ রান। কিন্তু কর্নাটক ১৭৭ রানেই গুটিয়ে গেল। বাংলার হয়ে মুকেশ কুমার এই ইনিংসে ৬টি উইকেট নিলেন।