সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে নিয়ে রামচন্দ্র গুহের তোপের মুখে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ।
রামচন্দ্র গুহের তোপের মুখে এ বার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। সমালোচিত বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বোর্ড তথা বোর্ড প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে প্রবীণ ইতিহাসবিদ বলেছেন যে ধারাভাষ্যকারের দল থেকে সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুচিত।
রামচন্দ্র গুহ শুধু ইতিহাসবিদই নন। তিনি কিছু দিন আগেও ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসকদের কমিটি বা কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস-এ ছিলেন। বোর্ড প্রেসিডেন্টকে নিশানা করে তিনি বলেছেন, “স্বার্থের সংঘাত খুবই খারাপ একটা ব্যাপার। তবে সৌরভ এখন যা করছে, তা ঠিক নয়। অন্য কোনও দেশ এমনটা করার অনুমতি দেবে না। ধারাভাষ্যকারদের কন্ঠরোধ করা খারাপ কাজ।”
তাঁর কথায়, “ফের ধারাভাষ্যকারদের দলে নেওয়ার জন্য সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে আবেদন করতে হয়েছিল। যা খুব করুণ ঘটনা। কেন ধারাভাষ্যের উপর বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ থাকবে? এটা একেবারেই অযৌক্তিক। বিশ্বের অন্য কোথাও এটা হয় না। ভাবতে পারেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এমন হচ্ছে?”
আরও পড়ুন: মাঠের বাইরের এক অচেনা বিরাট কোহালির খোঁজ দিলেন অ্যাডাম জাম্পা
আরও পড়ুন: ‘গাওস্কর তো মাসের পর মাস ছেলের মুখই দেখেনি’, কোহালি বিতর্কে এ বার মুখ খুললেন কপিল
চলতি বছরের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজের ঠিক আগে ধারাভাষ্যকারদের প্যানেল থেকে বিসিসিআই সরিয়ে দিয়েছিল মঞ্জরেকরকে। যদিও সেই সিরিজ শেষ পর্যন্ত করোনা অতিমারির কারণে হয়নি। পরে আইপিএলে ধারাভাষ্যকারদের দলে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বোর্ডের কাছে আবেদন করেন মঞ্জরেকর। কিন্তু, সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। তবে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের ধারাভাষ্য দলে তিনি রয়েছেন।
মঞ্জরেকর অবশ্য ধারাভাষ্যে বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন। গত বছর ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময় তিনি রবীন্দ্র জাডেজাকে ‘বিটস অ্যান্ড পিসেস’ ক্রিকেটার হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। প্রতিবাদ করেছিলেন স্বয়ং জাডেজাও। গত বছরই ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলাপি বলের টেস্ট চলাকালীন সঙ্গী ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলের সঙ্গেও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।