ভারতীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাঠের বাইরেও কাজে নেমে পড়লেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাহুল দ্রাবিড়।—ফাইল চিত্র।
ক্রিকেট জীবনে তাঁদের জুটি ভারতকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছ। এ বার ভারতীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাঠের বাইরেও কাজে নেমে পড়ল এই দুই কিংবদন্তি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাহুল দ্রাবিড়।
বোর্ড প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেই সৌরভ দেখা করতে চলেছেন তাঁর এক সময়কার সতীর্থ দ্রাবিড়ের সঙ্গে। যিনি বর্তমানে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) দায়িত্বে। বুধবার দ্রাবিড়ের সঙ্গে একটি বিশেষ বৈঠকে বসবেন সৌরভ। যেখানে ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠকে থাকার কথা বোর্ডের নতুন পদাধিকারীদেরও।
এনসিএ-র ডিরেক্টর হওয়ার পরেই ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের একটি রূপরেখা ছকে নিয়েছিলেন দ্রাবিড়। যা নিয়েই তিনি এ বার আলোচনা করবেন সৌরভের সঙ্গে। অতীতে সৌরভ এবং দ্রাবিড়কে বোর্ডের সভায় এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে। যেমন টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে। যেখানে চেয়ারম্যান ছিলেন সৌরভ। দু’জনের জুটি এ বার জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে কোন রাস্তায় এগিয়ে নিয়ে যায়, সেটা দেখতে চান অনেকেই। গত সপ্তাহে ভিভিএস লক্ষ্মণ যেমন টুইট করেছিলেন, ‘‘একটা জিনিস আমি দেখতে চাই। কী ভাবে এনসিএ-কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সৌরভ।’’
শুধু এনসিএ নয়, সৌরভের পরিকল্পনায় আছে ভারতের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও। এই প্রথম দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের জন্য চুক্তি চালু করতে চলেছেন সৌরভ। ভারতের নতুন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সে রকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদি ঘরোয়া ক্রিকেটে এ রকম চুক্তি কাঠামো চালু হয়, তা হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মতোই লাভবান হবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার।
সোমবার সৌরভ বলেছেন, ‘‘আমরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের জন্য চুক্তি চালু করতে চাইছি। আমরা (বোর্ডের পদাধিকারীরা) এ বার ফিনান্স কমিটিকে বলব, একটা চুক্তির খসড়া তৈরি করতে।’’ গত ২৩ অক্টোবর, বার্ষিক সাধারণ সভায় বোর্ড প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেছিলেন সৌরভ। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলছেন, ‘‘চার-পাঁচ দিন হল আমরা দায়িত্বে এসেছি। সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগবে সব কিছু খতিয়ে দেখে সামনে এগোতে।’’ বর্তমানে এক জন প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া ক্রিকেটার বছরে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা আয় করেন। অর্থের অঙ্ক নির্ভর করে ম্যাচ খেলার উপরে। একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ফি হল দিনপ্রতি ৩৫ হাজার টাকা (দৈনিক ভাতা বাদ দিয়ে)। এর পাশাপাশি বোর্ডের সম্প্রচার স্বত্ব থেকে পাওয়া অর্থের ১৩ শতাংশ করে পায় ঘরোয়া ক্রিকেটারেরা।