অনবদ্য: এগোলেন নাদাল এবং নোভাক। রয়টার্স, এপি/পিটিআই
ফরাসি ওপেনের মহড়া ভাল ভাবেই শুরু করলেন রাফায়েল নাদাল। জন ইসনারকে হারিয়ে ইটালি ওপেনের শেষ ষোলো পর্বে পৌঁছে গেলেন স্পেনীয় তারকা। তাঁর পক্ষে ম্যাচের ফল ৬-৩, ৬-১।
গত সপ্তাহে মাদ্রিদ ওপেনে স্বদেশীয়, ১৯ বছরের কার্লোস আলকারাজ়ের কাছে হারের পরে তাঁর ছন্দ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এমনকি, ইটালি ওপেনে খেলতে নামার আগে নাদাল বলেই ফেলেছিলেন, তাঁর শরীর এখন পুরনো যন্ত্রের মতো হয়ে গিয়েছে। তাকে ফের সচল করতে হলে কিছুটা সময় লেগে যাবেই। যদিও ইসনারের বিরুদ্ধে ৩৫ বছরের নাদালের খেলায় তেমন কোনও মন্থরতা ধরা পড়েনি। মাত্র ৭৭ মিনিটেই তিনি ম্যাচ শেষ করে দেন।
ম্যাচের পরে নাদাল বলেছেন, ‘‘আমার কাছে এখন সমস্ত ম্যাচই নিজেকে তৈরি করার মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। ছয় সপ্তাহ কোর্টের বাইরে থাকতে হয়েছিল। র্যাকেটে হাত পর্যন্ত ছোঁয়াতে পারিনি। সেই জায়গা থেকে দেখতে গেলে এই জয় আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ক্লে কোর্টে ভাল কিছু করতে হলে শারীরিক সক্ষমতাকে সর্বোচ্চ স্তরে রাখা খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। আমি সেই চেষ্টাই করে চলেছি। ইসনার অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ও-ও চাপে ফেলে দিয়েছিল। আমারও নিজের শক্তিকে যাচাই করার কাজ সহজ হয়ে গিয়েছিল।’’
পরের রাউন্ডে নাদালের প্রতিপক্ষ ডেনিস শাপোভালভ। যে দ্বৈরথ নিয়ে স্পেনীয় তারকা বলেছেন, ‘‘সাম্প্রতিক সময়ে ডেনিস বেশ ভাল টেনিস খেলেছে। শরীর এবং মনের দিক থেকে তরতাজা হয়ে উঠতে হবে। বিশেষ করে, শারীরিক ধকল সামলে ওঠাই এখন বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার কাছে। ’’
নাদাল সহজে জিতলেও লড়াই করে ম্যাচ বা করতে হয়েছে জার্মানির তারকা আলেকজান্ডার জ়েরেভকে। তিনি ৭-৬ (৭), ৬-৩ ফলে হারান সেবাস্তিয়ান বায়েজ়কে। প্রথম সেটে জিততে রীতিমতো লড়ই করতে হয়েছে জ়েরেভকে। ম্যাচের পরে তিনি বলেছেন, ‘‘ফরাসি ওপেনের আগে কত দ্রুত ত্রুটিমুক্ত করতে পারছি, তার উপরে সবকিছু নির্ভর করছে।’’
এ দিকে, চোটের কারণে ইটালি ওপেন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন গ্রেট ব্রিটেনের এমা রাদুকানু। মঙ্গলবার বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কুর বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন পিঠের ব্যথার জন্য সরে দাঁড়ান তিনি। সেই সময় ম্যাচের ফল রাদুকানুর পক্ষে ছিল ৬-২, ২-১।
রোমের লাল কোর্টে নোভাক জোকোভিচের আধিপত্যও অব্যাহত। পাঁচ বারের ইটালীয় ওপেন চ্যাম্পিয়ন আরও এক বার খেতাব জয়ের পথে এগোলেন। মঙ্গলবার রাতে জোকোভিচ ৬-৩, ৬-২ ফলে আসলান কারাতসেভকে হারিয়ে পৌঁছে গেলেন শেষ ষোলোয়। সহজেই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলেন অন্স জেবিয়ার। তিনি হারান সোরানা ক্রিস্টিয়াকে।
বিশ্বের এক নম্বর জোকোভিচ ইটালীয় ওপেনে কখনওই কোয়ার্টার ফাইনালের আগে হারেননি। আর তিনটি ম্যাচ জিতলেই ১০০০তম জয়ের ক্লাবে ঢুকে পড়বেন সার্বিয়ান তারকা। বিশ্ব ক্রতালিকায় ৩৫তম স্থানে থাকা কারাতসেভকে হারিয়ে জোকোভিচ বলেছেন, ‘‘শারীরিক ভাবে কারাতসেভ খুবই শক্তিশালী। ওর বিরুদ্ধে খেলাটা সব সময়ই কঠিন। যদি ও ছন্দে থাকে, তা হলে খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘যদিও এই ম্যাচে ও অনেক বলেই ঠিক মতো শট মারতে পারেনি। দুটো সেটেই আমাকে ব্রেকের সুযোগ দিয়েছে। এই জয় আমাকে পরের রাউন্ডের জন্য আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। ছন্দ ধরে রাখতে হবে।’’
জোকোভিচের সামনে আরও একটি কঠিন পরীক্ষা হল এক নম্বর জায়গা ধরে রাখা। এর জন্য তাঁকে ইটালীয় ওপেনের শেষ চারে উঠতেই হবে। তা না হলে জোকোভিচকে টপকে শীর্ষ স্থান দখল করবেন রুশ টেনিস তারকা দানিল মেদভেদেভ।