বছরে আট থেকে দশটি প্রতিযোগিতায় খেলতে চান নাদাল। ছবি: টুইটার।
টেনিস জীবনের প্রায় শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছেন রাফায়েল নাদাল। চোট আঘাত নিয়ে আর কত দিন খেলতে পারবেন, নিজেই নিশ্চিত নয়। বাবা হওয়ার পর তাঁর টেনিস দর্শনের আরও পরিবর্তন হয়েছেন। এখন আর এক নম্বর জায়গার লক্ষ্যে খেলতে চান না নাদাল।
রজার ফেডেরারের মতোই পাঁচ বার বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় হিসাবে বছর শেষ করেছেন নাদাল। তাঁদের আগে রয়েছে নোভাক জোকোভিচের ছ’বার এবং পিট সাম্প্রাসের সাত বার। টেনিস জীবনের প্রায় শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আর ক্রমতালিকায় অবস্থান নিয়ে ভাবতে চান না নাদাল। জেতার জন্য কোর্টে সব সময় মরিয়া নাদালকে দেখতেই অভ্যস্ত ক্রীড়াপ্রেমীরা। তাঁর মুখে হঠাৎ এমন কথা বিস্ময়কর।
আসলে বাবা হওয়ার পর টেনিস দর্শন বদলে গিয়েছে নাদালের। ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিককে এখন রাত জাগতে হচ্ছে। তাঁকে জাগিয়ে রাখছে ২৫ দিন বয়সের সন্তান। গত ৮ অক্টোবর প্রথম বাবা হয়েছেন তিনি। চোট আঘাত নিয়েও চলতি মরসুম নাদাল শেষ করেছেন ক্রমতালিকার দ্বিতীয় স্থানে। প্যারিস মাস্টার্স খেলতে এসে নাদাল বলেছেন, ‘‘এক নম্বর হওয়ার জন্য আর লড়াই করব না। অনেক দিন আগেই এই কথাটা এক বার বলেছিলাম। অতীতেও এক নম্বর হওয়ার লক্ষ্য না নিয়ে খেলেছি। টেনিসজীবনে দু’বার এ ভাবে নিজের লক্ষ্যপূরণ করতে পেরেছি। সে জন্য আমি খুশি এবং গর্বিত। টেনিসজীবনে এমন একটা জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি, যেখানে দাঁড়িয়ে আর এক নম্বরের জন্য লড়াই করতে চাই না।’’
তা হলে এখন আপনার লক্ষ্য কী? নাদাল জানিয়েছেন, তিনি এক নম্বর বাবা হতে চান। ছেলে হওয়ার তাঁর প্রথম প্রতিযোগিতা প্যারিস মাস্টার্স। ৩৬ বছরের টেনিস তারকা বলেছেন, ‘‘বাবা হওয়ার পর আমার ভাবনার পরিবর্তন হয়েছে। মাত্র দু’তিন সপ্তাহ বয়সের সন্তানকে বাড়িতে রেখে খেলতে আসার অনুভূতি অন্যরকম। ছেলেকে দেখতে পাব না। এখনই ওর অভাব অনুভব করছি।’’ আরও বলেছেন, ‘‘আমাদের ভাগ্য ভাল, এখন আধুনিক প্রযুক্তি ভিডিয়ো কল করা যায়। তাই ইচ্ছা হলেই ভিডিয়ো কল করে ছেলে দেখতে পাব।’’
বাই পাওয়ায় প্যারিস মাস্টার্সের প্রথম রাউন্ডে খেলতে হবে না নাদালকে। দ্বিতীয় রাউন্ডে তাঁকে খেলতে হবে টমি পল এবং রোবের্তো বাউতিস্তার খেলায় জয়ীর সঙ্গে। লেভার কাপের পর এই প্রথম খেলতে নামবেন নাদাল। নাদাল বলেছেন, ‘‘২০০৮ সালে প্রথম বার এক নম্বর হয়েছিলাম। আবার সেই জায়গায় যেতে পারলে অবশ্যই ভাল লাগবে। ২০০৫ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত দুর্দান্ত খেলেছি বলেই আমার মনে হয়। প্রচুর প্রতিযোগিতা জিতেছি ওই সময়। প্রচুর পয়েন্ট পেয়েছিলাম। এখন আমার জীবন অন্য রকম। জানি না কতগুলো প্রতিযোগিতায় খেলতে পারব। হয়তো আটটা বা ১০টা খেলব। তাতে এক নম্বর হওয়া সম্ভব নয়। এটা ভেবেই খুশি থাকতে চাইছি যে, এখনও খেলছি। ভালই খেলছি।’’