খেলতে খেলতে হার্ট অ্যাটাক, মৃত্যু তিন প্রধানে খেলা ফুটবলারের

মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান ছাড়াও ইউনাইটেড স্পোর্টস ও সাদার্ন সমিতিতে খেলে গিয়েছেন এই মালয়ালি লেফ্ট ব্যাক। কেরলের বিখ্যাত কোচ টি কে চাত্তুণ্ণির কাছেই ফুটবলের প্রথম পাঠ পেয়েছিলেন ধনরাজন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৩২
Share:

অকালপ্রয়াণ: তিন প্রধানেই খেলেছিলেন ধনরাজন। নিজস্ব চিত্র

খেলার মাঝেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল সাম্প্রতিককালে কলকাতার তিন প্রধানে খেলে যাওয়া ফুটবলার রাধাকৃষ্ণন ধনরাজনের। বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৯ বছর। রবিবার পেরিনদেলমান্নায় স্থানীয় একটি সেভেন এ সাইড ম্যাচে খেলছিলেন তিনি। সেখানে খেলার মাঝখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুকে হাত দিয়ে মাঠেই হঠাৎ শুয়ে পড়েন ধনরাজন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান ছাড়াও ইউনাইটেড স্পোর্টস ও সাদার্ন সমিতিতে খেলে গিয়েছেন এই মালয়ালি লেফ্ট ব্যাক। কেরলের বিখ্যাত কোচ টি কে চাত্তুণ্ণির কাছেই ফুটবলের প্রথম পাঠ পেয়েছিলেন ধনরাজন। চাত্তুণ্ণির অন্যতম প্রিয় ছাত্রও ছিলেন। বিখ্যাত এই কোচের প্রশিক্ষণেই তিন বছর ভিভা কেরলে খেলার পরে ২০০৮ সালে কলকাতার ইউনাইটেড স্পোর্টসে প্রথম খেলতে আসেন ধনরাজন।

কেরল থেকে তাঁর সঙ্গে সে বার এসেছিলেন ডেনসন দেবদাসও। এ দিন সেই ডেনসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, ‘‘আমার প্রিয় বন্ধু চলে গেল। একসঙ্গে কলকাতায় খেলতে এসেছিলাম। একই ক্লাবে খেলেছি। কোনও দিন শৃঙ্খলা ভাঙতে দেখিনি ধনরাজনকে। মিশুকে প্রকৃতির ছেলে। মাঠে কখনও ওকে মাথা গরম করতেও দেখিনি।’’

Advertisement

ইউনাইটেড স্পোর্টসের পরে মোহনবাগান ও মহমেডান ঘুরে ২০১৪ সালে ইস্টবেঙ্গলে আসেন ধনরাজন। মহামেডান তাঁর অধিনায়কত্বে ডুরান্ড কাপ ও আইএফএ শিল্ড জিতেছিল। তার আগে ২০১০ সালে দীর্ঘ ১১ বছর পরে সন্তোষ ট্রফি জিতেছিল বাংলা। সেই দলের রক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন কেরলের এই প্রয়াত ফুটবলার। সম্প্রতি ‘ডি’ লাইসেন্সও পূর্ণ করেছিলেন। কেরল রাজ্য ক্রীড়া পর্ষদে চাকরিও পেয়েছিলেন ধনরাজন। তাঁর অকালমৃত্যুতে শোকাহত কলকাতা ময়দান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement