পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে চান অশ্বিন। ফাইল চিত্র।
ওভারের ক্রিকেটের দল থেকে বাদ পড়া। ক্রমাগত চোট-আঘাত। এই দুইয়ের কারণেই একসময় আগের মতো ক্রিকেট উপভোগ করছিলেন না ভারতের অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। টিভিতেও দেখতেন না ক্রিকেট। নিজেই জানালেন সেই কথা।
মুম্বইয়ের এক দৈনিকে অশ্বিন বলেছেন, “আমি প্রত্যেক দিন খেলায় ডুবে থাকতে ভালবাসি। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেট থেকে বাদ পড়া ও চোট-আঘাতের কারণে একসময় ক্রিকেট খেলার আনন্দই হারিয়ে বসেছিলাম। যা আমার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল। আমি এমনকী, টিভিতেও খেলা দেখতাম না। আসলে ক্রিকেট উপভোগ করছিলাম না একদম। সৌভাগ্যবশত, সেই সময় কাটিয়ে উঠেছি এখন।”
দুই রিস্ট স্পিনার যুজবেন্দ্র চহাল ও কুলদীপ যাদবের উত্থানের ফলে ওভারের ফরম্যাট থেকে ক্রমশ হারিয়ে গিয়েছিলেন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাডেজা। এর মধ্যে বাঁ-হাতি স্পিনার জাডেজা অবশ্য ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরে এসেছেন দলে। ইংল্যান্ডে কয়েক মাস আগে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপেও খেলেছেন তিনি। কিন্তু অশ্বিন এখনও নীল জার্সি চাপাতে পারেননি শরীরে। তবে চেন্নাইয়ের অফস্পিনার আশা ছাড়ছেন না। আইপিএলে ভাল পারফরম্যান্সের জোরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা করতে চান তিনি।
আরও পড়ুন: ধোনি-ঋদ্ধির সঙ্গে ঋষভের তুলনা করবেন না, বলছেন দেশের প্রাক্তন উইকেটকিপার
আরও পড়ুন: মানসিক জোর জুগিয়েছেন দ্রাবিড়, সচিনের মতো শট মারতে পারলে খুব ভাল লাগে
আর এই লক্ষ্যে যুবরাজ সিংহ হয়ে উঠছেন তাঁর প্রেরণা। অশ্বিন বলেছেন, “প্রত্যেকের কাছেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে আসা বাস্তবসম্মত একটা লক্ষ্য। কে বিশ্বকাপে দেশের হয়ে খেলতে চায় না? ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরে এসেছিল যুবরাজ সিংহ। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও খেলেছিল ও। আর আমার বয়স তো সবে এখন ৩৩। একজন স্পিন বোলার হিসেবে আমি যদি ফিট থাকতে পারি, শেখার রাস্তায় থাকতে পারি, উন্নতি করতে পারি, তবে অভিজ্ঞতার জোরে আইপিএলে সফল হতেই পারি। আর কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে কিন্তু অভিজ্ঞতা কাজে আসে। যে দলগুলো অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে, তারা সাফল্য পায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেমন ক্রিস গেল, ড্যারেন স্যামি, কিয়েরন পোলার্ডরা থাকায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।”