প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সোমবার থেকে বাংলা দলের রঞ্জি ট্রফি-প্রস্তুতিতে দেখা যাবে প্রায় ৩০ জন ক্রিকেটারকে! ১ নভেম্বর থেকে যেখানে রঞ্জির প্রথম ম্যাচ, সেখানে এখনও ১৫ জনের দলই বাছা হয়নি! দলের এক কর্তা জানাচ্ছেন, তা নাকি বাছা হবে তিন-চার দিন অনুশীলন হওয়ার পরে। যার অর্থ, প্রথম ম্যাচের জন্য যে ১৫ জন চলতি মাসের শেষে দলের সঙ্গে হিমাচল প্রদেশে রওনা হবেন, তাঁরা একসঙ্গে তিন-চার দিনের বেশি অনুশীলন করতেই পারবেন না। যা শুনে অবাক বাংলার ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা। অথচ বিজয় হজারে ট্রফিতে জঘন্য পারফম্যান্স করে ফেরা বাংলার ক্রিকেটারেরা দশ দিন মাঠের বাইরে। উপভোগ করলেন পুজোর ছুটিও। প্রশ্ন উঠছে, যে ক্রিকেট প্রশাসনের শীর্ষে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সেখানে পরিকল্পনার এত অভাব কেন?
শনিবার বাংলা দলের এক কর্তা জয়দীপ মুখোপাধ্যায় জানান, ‘‘সোমবার থেকে অনুশীলন শুরু হবে সম্ভাব্য দলে থাকা ৩০ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে। ২৯ তারিখ দল রওনা হওয়ার আগে ২৫-২৬ তারিখ নাগাদ ১৫ জনের দল বাছা হবে।’’ যদিও এই খবর নেই কোচ সাইরাজ বাহুতুলে ও অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির কাছে। শনিবার সাইরাজ বললেন, ‘‘৩০ না ১৫ জনের দল নিয়ে অনুশীলন হবে, তা জানি না।’’ মনোজও জানিয়ে দেন, ‘‘আমাকে কেউ জানায়নি, কবে থেকে অনুশীলন।’’ তিনি ও অভিমন্যু ঈশ্বরন দেওধর ট্রফিতে অংশ নিতে রবিবার দিল্লি রওনা হচ্ছেন। অর্থাৎ, প্রস্তুতিতে এই দু’জনকে পাবে না বাংলা শিবির।
এ কথা শুনে বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক উৎপল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে সিএবি কর্তাদের পরিকল্পনায় কোথাও ভুল হচ্ছে। রঞ্জি ট্রফি যেখানে মাত্র দশ দিন পরে। সেখানে ১৫-২০ জনের বেশি ছেলেকে এখন অনুশীলনে ডাকাই উচিত না। ৩০ জন একসঙ্গে নামলে তো সবাই হারিয়ে যাবে। কাউকেই ঠিক মতো দেখতে পাবেন না কোচ, নির্বাচকেরা। পরে যখন দল খারাপ ফল করে ফিরবে, তখন আর ওদের অযথা দোষ দেওয়া যাবে না। যেখানে প্রস্তুতির পরিকল্পনায় গলদ, সেখানে পারফরম্যান্স খারাপ হতেই পারে।’’
শনিবার রাতে সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অবশ্য তাঁকে পাওয়া যায়নি।