মিশেল প্লাতিনি।—ছবি এএফপি।
মিশেল প্লাতিনিকে ফরাসি দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারীদের দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে চিন্তায় নেই কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটি। শুক্রবার কমিটির প্রধান হাসান আল থাওয়াদি ব্রাজিলে বলেছেন, ‘‘আমি যতদূর জানি প্লাতিনিকে গ্রেফতার করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দুটোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।’’
প্রাক্তন ইউরোপিয়ান ফুটবল প্রেসিডেন্ট প্লাতিনিকে ফরাসি দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা বুধবার বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে জেরা করেন। কাতারকে ২০১০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়ার পিছনে দুর্নীতি ছিল কি না সেটা জানতেই জেরা করা হয় তাঁকে। কোপা আমেরিকার অন্যতম দল কাতারের ম্যাচ উপলক্ষে ব্রাজিলে গিয়েছেন থাওয়াদি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘‘এই ঘটনাকে গুরুত্ব দেওয়ার মতো কিছু দেখছি না। এ ব্যাপারে আমি মন্তব্য করতে পারব না। তদন্ত চলছে। তবে এটুকু বলতে পারি আমাদের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারেরা যোগাযোগ করেননি। আমরা সব সময় নিজেদের স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। গার্সিয়া তদন্তকারী সংস্থা সব খতিয়ে দেখে আমাদের দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত করেছে।’’ কাতারের বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে ফিফার হয়ে তদন্ত করেছিলেন মার্কিন আইনজীবী মাইকেল গার্সিয়া। তদন্তের পরে তিনি কাতারকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন। অভিযোগ ছিল ২০১৮ (রাশিয়া) এবং ২০২২ (কাতার) বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেতে ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গার্সিয়া তদন্তের পরে দুই দেশকেই মুক্ত করেন। কিন্তু ফ্রান্সের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকের দফতর ২০১৬ সালে এই দুটি বিশ্বকাপের ভোট নিয়ে প্রাথমিক ভাবে তদন্ত শুরু করেছিল।
ফ্রান্সের একটি ফুটবল ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে, একটি গোপন বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালের ২৩ নভেম্বরে তৎকালীন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি, কাতারের তৎকালীন যুবরাজ (এখন আমির) তামিম বিন হামাদ আল-থানি এবং প্লাতিনির। সেই সময় প্লাতিনি উয়েফা প্রেসিডেন্ট এবং ফিফার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন। সেই বৈঠকের সপ্তাহ খানেক পরেই ফিফা ভোটাভুটির মাধ্যমে ঘোষণা করে ২০২২ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার।