ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে তাঁর সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষকে এখন বেছে নেওয়া যাবে না। সবাই সমমানের এবং তাঁদের বিরুদ্ধে খেলতে নামলে সতর্ক থাকতে হয়, তা সে বিশ্বর্যাঙ্কিং যাই হোক না কেন। এমনই মনে করেন পি ভি সিন্ধু।
অলিম্পিক্সে দুটি পদক জয়ী ভারতীয় তারকা গোয়ায় একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় কেউই কঠিন প্রতিপক্ষ নয়, যে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারানো যায়।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ব্যাডমিন্টনে কম যায় না কেউই। বিশ্বর্যাঙ্কিংয়ে কেউ এগিয়ে আছে মানেই সে কঠিন প্রতিপক্ষ আর কেউ বিশ্বর্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকার অর্থ তাঁকে সহজেই হারানো যাবে, এমনটা নয়।’’ তাই সিন্ধু মনে করেন নিজের সেরাটা দেওয়াই প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। ‘‘যাই হোক না কেন, নিজের একশো শতাংশ দিতে হবে। এটা বলব না এই খেলোয়াড় প্রতিপক্ষ হিসেবে খুব কঠিন বা ওই খেলোয়াড় অপরাজেয়, সবাইকেই হারানো যায়,’’ বলেছেন সিন্ধু।
অলিম্পিক্সের আগে করোনার জন্য সব খেলার উপরে যখন প্রভাব পড়ছিল, সেই সময়ের কথাও বলেন সিন্ধু। ‘‘অতিমারির জন্য অলিম্পিক্স পিছিয়ে দিতে হয়েছিল। তখন আর কয়েক মাস বাকি ছিল অলিম্পিক্স শুরু হওয়ার। খুবই খারাপ লেগেছিল। আমরা চার বছর অপেক্ষা করি এই প্রতিযোগিতার জন্য,’’ বলেছেন তিনি। এমনকী অলিম্পিক্সে লড়াই করতে নামাটাও খুব কঠিন ছিল বলে মন্তব্য করেন সিন্ধু। কারণ খেলোয়াড়দের প্রত্যেকটা দিন সেই সময় করোনার পরীক্ষা হত। ‘‘ভাবুন এক বার কেউ সেমিফাইনালে উঠেছে তখন তাঁর করোনা পরীক্ষার ফল পজ়িটিভ এল। এর চেয়ে খারাপ আর কী হতে পারে,’’ বলেন তিনি। আরও যোগ করেছেন, ‘‘ভাগ্য ভাল যে সবকিছুই ঠিকঠাক হয়েছে এবং আমি টোকিয়ো থেকে ব্রোঞ্জ জিতে ফিরতে পেরেছি।’’
তবে অতিমারির জন্য যে সময় পেয়েছিলেন, তাতে যে তাঁর উপকারই হয়েছিল, সেটাও জানাতে ভোলেননি সিন্ধু। বলেছেন, ‘‘ওই সময়ে নিজেকে দারুণ তৈরি করেছিলাম।’’