পি ভি সিন্ধু। —ফাইল চিত্র
হাঁটুতে চোট। তাই অলিম্পিক্সে খেলতে পারবেন না ক্যারোলিনা মারিন। তাতে পি ভি সিন্ধুর টোকিয়োয় পদক জয়ের সম্ভাবনা কি বেড়ে গেল? ব্যাডমিন্টন মহলে এখন এটা নিয়ে ভাল মতোই চর্চা চলছে।
সিন্ধু নিজে কিন্তু এই ধরনের আলোচনা থেকে নিজেকে দূরে রাখছেন। উল্টে টুইটারে এক ভিডিয়ো বার্তায় তিনি রিয়ো অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী মারিনের দ্রুত আরোগ্যই কামনা করেছেন। ভারতীয় তারকা বলেছেন, ‘‘তোমার চোটের কথা শুনে খুব খারাপ লাগল। আশা করি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে, আরও শক্তিশালী অবস্থায় কোর্টে ফিরবে।’’
রিয়ো অলিম্পিকের ফাইনালে এই মারিনের কাছে হেরেই সিন্ধুকে রুপোয় সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। ভিডিয়ো বার্তায় সিন্ধু যোগ করেছেন, ‘‘রিয়োর সেই ফাইনালের কথা ভুলিনি। সত্যিই ওখানে আমাদের মধ্যে দারুণ একটা ম্যাচ হয়েছিল। সেই মুহূর্তটা কোনওভাবেই টোকিয়োয় ফিরবে না ভেবে খারাপ লাগছে। হতাশ লাগছে এ বারের অলিম্পিক্সে তোমায় দেখতে পাব না ভেবেও। তবে কোর্টে নিশ্চয়ই আবার আমাদের দেখা হবে। আর সেটা তাড়াতাড়িই হবে। তাই দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে এসো। তোমাকে অনেক ভালবাসা।’’
এ দিকে, জাপানে অলিম্পিক্স আয়োজন নিয়ে বিতর্ক কিন্তু অব্যাহত। সে দেশের সাধারণ মানুষ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটা বড় অংশ চান না টোকিয়োয় এ বার গেমস হোক। করোনা সংক্রমণের সাম্প্রতিকতম হানায় কার্যত দিশেহারা অবস্থা নেয়োমি ওসাকার দেশের। তার উপরে সেখানে মোট জনসংখ্যার খুবই সামান্য একটা অংশ অতিমারির প্রতিষেধক টিকা পেয়েছে। তাই বিশিষ্ট চিকিৎসক শিগেরু ওমি কোনও ভাবেই অলিম্পিক্স আয়োজনের সমর্থনে যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না। জাপান সরকারের সংসদীয় কমিটির কাছে ওমি একেবারে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘এখন যা অবস্থা তাতে গেমস আয়োজন একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার। এর পরেও অলিম্পিক্স করা হলে তার পুরো দায়িত্ব কিন্তু আয়োজকদের উপরেই বর্তাবে। ওদেরই সে ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব অতিমারি সংক্রমণের হার কমাতে হবে।’’