পদকের রং পাল্টে দিতে চান সিন্ধু

এ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। কোয়ার্টার ফাইনালের পরে দেখা হয়ে যেতে পারে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর। আর দু’জনেই যে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। সিন্ধু বলে রাখছেন, এ বার তিনি পদকের রংটা পাল্টাতে চান।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৭ ০৪:৪৭
Share:

প্রতিদ্বন্দ্বী: গ্লাসগোতেও সিন্ধুর চ্যালেঞ্জ হতে পারেন মারিন। ফাইল চিত্র

তাঁরা বেশ কয়েক বার পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। পিভি সিন্ধু এবং ক্যারোলিনা মারিন। শেষ বার ইন্ডিয়া ওপেন ফাইনালে দুই মেয়ের লড়াইয়ে জিতেছিলেন সিন্ধুই। কিন্তু দু’জনের যে লড়াইটা ভক্তদের মনে এখনও জ্বলজ্বল করছে, সেটা রিও অলিম্পিক্সের ফাইনাল। যে লড়াই হেরে রুপো জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকাকে।

Advertisement

এ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। কোয়ার্টার ফাইনালের পরে দেখা হয়ে যেতে পারে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর। আর দু’জনেই যে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। সিন্ধু বলে রাখছেন, এ বার তিনি পদকের রংটা পাল্টাতে চান। মারিন বলছেন, রিও অলিম্পিক্সের চেয়ে ভাল প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন তিনি।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে এখন পর্যন্ত দু’বার ব্রোঞ্জ জিতেছেন সিন্ধু। এ বার কিন্তু তিনি বদ্ধপরিকর, ছবিটা বদলে ফেলতে। ‘‘অস্ট্রেলিয়া ওপেনের দু’মাস পরে নামছি। প্র্যাকটিসের অনেক সময় পেয়েছি। নিজের ফর্ম নিয়েও আমি সন্তুষ্ট। নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য আমি তৈরি,’’ বলছেন তিনি। এর পরেই অলিম্পিক্স রুপোজয়ী কন্যা বলে দিচ্ছেন, ‘‘এখান থেকে অবশ্যই একটা পদক নিয়ে ফিরতে চাই। এবং আশা করছি, সেই পদকটা ব্রোঞ্জ হবে না। আমি এ বার পদকের রংটা বদলে দেওয়ার জন্য লড়ব।’’

Advertisement

তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীও কিন্তু আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। এ বার সোনা জিতলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার হ্যাটট্রিক হয়ে যাবে মারিনের। সিন্ধুর মতো স্প্যানিশ তারকাও বলে দিচ্ছেন, ‘‘দু’মাস ধরে আমি এই টুর্নামেন্টের জন্য তৈরি হয়েছি। আমি তো বলব, রিও অলিম্পিক্সের জন্য যতটা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, তার চেয়েও এ বারের প্রস্তুতিটা ভাল হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: পাঠচক্র পাঠ ভুলল কামোর হ্যাটট্রিকে

অলিম্পিক্সের পরে পায়ের চোট বার বার ভুগিয়েছে মারিনকে। একটা টুর্নামেন্টেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি। বরং দু’টোতে ওয়াকওভার দিয়ে সরে যেতে হয়েছিল। র‌্যাঙ্কিং নেমে গিয়েছিল চার নম্বরে। যা নিয়ে মারিন বলছেন, ‘‘অলিম্পিক্স হয়েছে এক বছর হয়ে গিয়েছে। তার পরে আমি চোট পেয়ে গিয়েছিলাম। ভাল কিছু করতে পারিনি। কিন্তু এখন আমি তৈরি। আবার ভাল খেলতে শুরু করেছি।’’ নিজের লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর বলেছেন, ‘‘আমি সোনার লক্ষ্যেই এখানে নামছি। জানি, সামনে বেশ কয়েকটা কঠিন ম্যাচ আছে। আমিও একটা একটা ম্যাচ ধরে এগোব।’’ সিন্ধুর মতো মারিনও এখানে প্রথম রাউন্ডে ওয়াকওভার পেয়েছেন।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সিন্ধু তাঁর অভিযান শুরু করবেন দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে। যেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন কিম হিও মিন বা মিশরের হাদিয়া হোসনি। কিন্তু এই দু’জন নয়, সিন্ধুর মাথায় এখন থেকেই কিন্তু মারিনের নামটা ঘুরছে। দু’জনের শেষ লড়াই নিয়ে তাই হয়তো সিন্ধু বলে দিচ্ছেন, ‘‘ইন্ডিয়া ওপেনে মারিনকে হারানোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার কাছে। রিও আমার লড়াই তো কোর্টে বসে অনেকেই দেখতে পারেননি। তাই দেশে ওই ট্রফিটা জেতার তৃপ্তি ছিল অন্য রকম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement