হংকং ওপেনে ফাইনালে ওঠার পথে সিন্ধু। ছবি: এএফপি
এর আগের লড়াইয়ে হিসেবে পিছিয়েই ছিলেন ভারতীয় তারকা। দু’জনের শেষ লড়াইয়ে হেরেও গিয়েছিলেন। সামনে ছিল বদলা নেওয়ার সুযোগ। যেটা কাজে লাগালেন পি ভি সিন্ধু। শনিবার সাংহাইয়ে রতচানক ইন্তানন-কে ৪৩ মিনিটে সহজেই ২১-১৭, ২১-১৭ হারিয়ে হংকং সুপার সিরিজের ফাইনালে চলে গেলেন সিন্ধু। এই নিয়ে পর পর দু’বার।
শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন সিন্ধু। কোর্টে দ্রুত নড়াচড়া করেছেন। ফ্রন্ট কোর্টে নিজের আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন। ডিফেন্সও মজবুত ছিলেন সিন্ধু। ৪৩ মিনিটের লড়াইয়ে কখনও মনে হয়নি সিন্ধু চাপে আছেন। শেষ বার ইন্তানন-কে সেই ২০১৫ কোরীয় ওপেনে হারান সিন্ধু। দু’বছর বাদে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিই ঘটল।
ফাইনালে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকার প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম তাই জু ইং। এই মুহূর্তে বিশ্বের এক নম্বর এবং স্বাভাবিক ভাবেই শীর্ষ বাছাই। সাইনা নেহওয়াল এবং প্রকাশ পাড়ুকোনের কীর্তি ছুঁতে গেলে এ বার বিশ্বের এক নম্বরকে হারাতে হবে সিন্ধুকে। এর আগে ২০১০ সালে সাইনা এবং ১৯৮২ সালে প্রকাশ পাড়ুকোন এখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।
আঠারো মাস পরে আবার ইন্তাননের বিরুদ্ধে কোর্টে নেমেছিলেন সিন্ধু। ইন্তাননের শটকে সামলাতে সিন্ধুর প্রধান অস্ত্র ছিল দুরন্ত ব্যাকহ্যান্ড। পাশাপাশি প্রয়োজনের সময়ে আক্রমণেও উঠেছেন সিন্ধু। প্রথম গেমে সিন্ধু শুরুতেই ৬-২ এগিয়ে যান। ইন্তাননের জোরালো সব শট সামলে। সাত মিনিট হতে না হতেই সিন্ধুর একটা ক্রস কোর্ট স্ম্যাশ পয়েন্ট এনে দেয় তাঁকে। ওই সময় সিন্ধু এগিয়ে যান ১১-৭ পয়েন্টে। এর পরে আর খুব কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি সিন্ধুকে।
দ্বিতীয় গেমের শুরুতে অবশ্য ইন্তানন এগিয়ে গিয়েছিলেন ৩-১ পয়েন্টে। এর পরে পিছন থেকে এসে ইন্তাননকে ধরে ফেলেন সিন্ধু। দুরন্ত একটা স্ম্যাশে ৫-৪ করে দেন তিনি। কিন্তু ওই সময় দু’টো আনফোর্সড এরর করে বসেন সিন্ধু। এগিয়ে যান ইন্তানন। কিন্তু ৫-৬ পয়েন্টে এগিয়ে থাকা অবস্থায় ইন্তাননের একটা ব্যাকহ্যান্ড রিটার্ন বাইরে চলে যায়। স্কোর দাঁড়ায় ৬-৬। দ্বিতীয় গেমে কিন্তু পর পর বেশ কয়েকটা ভুল করেন ইন্তানন। যেখান থেকে তিনি আর ফিরে আসতে পারেননি।
গত বছরের হংকং ওপেনের ফাইনালেরই পুনরাবৃত্তি ঘটছে এ বার। সিন্ধু বনাম তাই জু। একই সঙ্গে বদলা আর হংকং সুপার সিরিজ ট্রফি সিন্ধু ঘরে তুলতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।