শনিবার ফাইনালে ওঠার পরে উল্লসিত সিন্ধু। ছবি পিটিআই।
সৈয়দ মোদী সুপার ৩০০ আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনের ফাইনালে পৌঁছে গেলেন পি ভি সিন্ধু। শনিবার সেমিফাইনালে তিনি হারান ১৭ বছরের নতুন তারকা উন্নতি হুডা-কে। ম্যাচের ফল ২১-১২, ২১-৯। মাত্র ৩৬ মিনিটে ম্যাচ শেষ করে দেন সিন্ধু।
ছেলেদের সিঙ্গলস ফাইনালে পৌঁছে গেলেন লক্ষ্য সেন-ও। তিনি এ দিন সেমিফাইনালে হারিয়ে দিয়েছেন জাপানের শোগো ওগাওয়া-কে। দাপটের সঙ্গে লক্ষ্য জেতেন ২১-৮, ২১-১৪ ফলে।
মিক্সড ডাবলস ইভেন্টের ফাইনালে উঠেছে ভারতের তনিশা ক্রাস্টো এবং ধ্রুব কপিলা জুটি। তাঁরা ২১-১৬, ২১-১৫ ফলে হারিয়েছেন ঝি হং ঝৌউ এবং জিয়া য়ি ইয়াং-কে। ৪২ মিনিটে ম্যাচ জেতেন তনিশা-রা।
মেয়েদের সিঙ্গলস সেমিফাইনালে সিন্ধুর জয় নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। তার উপরে পুরো ম্যাচে প্রতিপক্ষ উন্নতি প্রচুর অবাঞ্ছিত ভুল করে সিন্ধুর জয়ের পথ সহজ করে দেন। ম্যাচের পরে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে সিন্ধু বলেছেন, ‘‘যে ভাবে আজ খেলেছি, তাতে সন্তুষ্ট। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলে প্রতিপক্ষের শক্তি যাচাই করে নিয়েছিলাম। তা ছাড়াও বেশ কয়েকটি নতুন শট নিয়েও পরীক্ষা করেছি। সেগুলো বেশ কাজেও লেগেছে।’’
১৭ বছরের প্রতিপক্ষ উন্নতিকে নিয়ে সিন্ধুর মন্তব্য, ‘‘ও নিজের সেরা খেলাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। আসলে আমি-ই ওকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দিইনি।’’ যোগ করেন, ‘‘বয়স অনেক কম। সবে খেলা শুরু করেছে। আশা করি উন্নতি আরও তীক্ষ্ণ এবং সপ্রতিভ হয়ে উঠবে।’’
এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রমতালিকায় ১৮ নম্বরে রয়েছেন সিন্ধু। বছরের শেষ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া। তিনি বলেছেন, ‘‘যে ভাবে এখনও পর্যন্ত খেলেছি, সেটাই ধরে রাখতে হবে ফাইনালে। প্রতিপক্ষে কে থাকবে, সেটা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। নিজের সেরা খেলাই উপহার দিতে হবে ফাইনালে।’’
প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে ফেরার পর থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তেমন সাফল্য নেই সিন্ধুর। সেই বিষয়ে অলিম্পিক্সে জোড়া পদকজয়ী বলেন, ‘‘এখনও উন্নতি করার অনেক সুযোগ রয়েছে। অনুশীলনে সেই বিষয়গুলির উপরেই জোর দিচ্ছি। প্রত্যক দিনই নতুন ভাবে নিজেকে তৈরি করছি।’’
প্যারিসে ব্যর্থতার প্রসঙ্গ নিয়ে সিন্ধু বলেছেন, ‘‘আমিও জানি, নিজের সেরাটা দেওয়ার পরেও অলিম্পিক্সে সাফল্য পাইনি। দুই নতুন কোচ অনুপ শ্রীধর এবং লি হিয়ুন-এর কাছে প্রস্তুতি নেওয়ার পরে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছি। আরও শক্তিশালী হয়েই আমাকে ফিরতে হবে।’’
সাম্প্রতিক সময়ে সিন্ধুর ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘ফিটনেস ব্যাপারটা সকলের ক্ষেত্রে একরকম হয় না। কুড়ি বছর বয়সে যে নিয়ম মেনে অনুশীলন করতাম, সেটা এখন সম্ভব নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে ফিটনেস ধরে রাখতে অনুশীলনের পদ্ধতিতেও পরিবর্তন করতে হয়। এই মুহূর্তে খেলায় বৈচিত্র ও কোর্টে কত ক্ষিপ্রতা দেখাতে পারছি, সেটার উপরেই এখন বেশি জোর দিতে হয়েছে।’’