জল্পনা: শিগগিরই হবে করোনার পরীক্ষা, জানিয়েছেন হেলস। টুইটার
করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ কি দেখা যাচ্ছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার অ্যালেক্স হেলসের মধ্যে? এই নিয়ে মঙ্গলবার তুমুল জল্পনা শুরু হয়ে গেল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তার মন্তব্যে। পাক বোর্ডের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার ওয়াসিম খান এ দিন জানান, পাকিস্তান সুপার লিগে খেলা এক বিদেশি ক্রিকেটার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যদিও সেই ক্রিকেটারের নাম তিনি বলেননি। কিন্তু প্রাক্তন পাক অধিনায়ক রামিজ রাজা পরে জানিয়ে দেন, সেই ক্রিকেটারের নাম অ্যালেক্স হেলস। রামিজ বলেছেন, ‘‘আমি যত দূর জানি হেলসের এখনও পরীক্ষা হয়নি। ওর উপসর্গ করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কি না, তা আমরা জানি না। তবে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’’ হেলসের নাম ছড়িয়ে পড়ার পরে চাঞ্চল্য শুরু হয়ে যায়।
এ দিনই আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পিএসএল পিছিয়ে দেওয়ার। পাক বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘পিএসএল ২০২০ পিছিয়ে দেওয়া হল। পরে নতুন করে আবার সূচি হবে।’’ হেলস অবশ্য তার আগেই দেশে ফিরে গিয়েছেন। এ দিন তাঁর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে হেলস নিজে একটি বিবৃতি দেন টুইটার মারফর। যেখানে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে স্বীকার করেছেন, দেশে ফেরার পরে অসুস্থ বোধ করায় তিনি এখন নিজেকে স্বেচ্ছাবন্দি রেখেছেন। আর এখনও তাঁর করোনাইভাইরাসের পরীক্ষা হয়নি। ফলে তিনি আক্রান্ত কি না, তা জানা যাচ্ছে না।
এক বিবৃতিতে হেলস এ দিন বলেছেন, ‘‘আমি শনিবার সকালে ইউ কে (ইউনাইটেড কিংডম)-তে ফিরেছি। তখন আমার কোনও সমস্যা ছিল না। পুরোপুরি সুস্থ ছিলাম। কিন্তু রবিবার সকালে উঠে দেখলাম জ্বর হয়েছে। যার পরে সরকারের নীতি অনুযায়ী নিজেকে স্বেচ্ছাবন্দি করে রেখেছি। এবং সেটা এখনও আছি। কারণ, আমার একটা শুকনো কাশিও হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমার কোনও শারীরিক পরীক্ষা হয়নি। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি সেটা হবে এবং তার ফলও আমি জানিয়ে দেব।’’
এর মধ্যে আবার পাক বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে, সাবধানতা হিসেবে পিএসএলের প্রত্যেক ক্রিকেটার এবং সম্প্রচারকারী সংস্থার লোকজনের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা হবে। পিএসএল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন রামিজ। যদিও শুধু নক আউট পর্বের ম্যাচই আর বাকি ছিল। রামিজ বলেছেন, ‘‘এত দিন ফাঁকা মাঠে খেলা হচ্ছিল। তাতে অবশ্য কারও কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু পরিস্থিতি এখন অনেক বদলে গিয়েছে। এখন ম্যাচ করা হলে বিপর্যয় হয়ে যেতে পারত।’’