নজরে: সন্দেহ ছুটি কাটাতে গিয়ে সংক্রমিত দি মারিয়া, নেমার। ফাইল চিত্র
নতুন মরসুম শুরুর আগেই বজ্রাঘাত প্যারিস সাঁ জারমাঁ শিবিরে। নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র আক্রান্ত করোনাভাইরাসে, দাবি করেছে ফ্রান্সের একটি সংবাদপত্র। নাম না করেই ক্লাবের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, দলের তিন ফুটবলার এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ফরাসি লিগ ওয়ানে গতবারের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি অভিযান শুরু করছে লেনস দলের বিরুদ্ধে। তার আগে ব্রাজিলীয় তারকার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরে বেড়েছে উদ্বেগ। ফ্রান্সের ওই সংবাদপত্রটি আরও দাবি করেছে, নেমার ছাড়া সংক্রমিত হয়েছেন অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া এবং লেয়ান্দ্রো পারেদেস। এই তিন ফুটবলারই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে হারের পরে পরিবার নিয়ে ইবিজ়া দ্বীপে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। খুব সম্ভবত তখনই তাঁরা সংক্রমিত হন। প্রসঙ্গত ইবিজ়া দ্বীপে ছুটি কাটানোর সময় নেমার তাঁর ছেলে লুক্কাকেও নিয়ে গিয়েছিলেন। ফলে ব্রাজিলীয় তারকার ছেলেও সেই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে কি না, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা।
বুধবার ক্লাবের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “পিএসজির তিনি ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে ওই তিন ফুটবলারকে নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দলের বাকি সমস্ত ফুটবলার এবং সাপোর্ট স্টাফেরও করোনা পরীক্ষা করা হবে।” প্রসঙ্গত নতুন মরসুমের ফরাসি লিগ ওয়ান শুরুর আগে পিএসজি ছাড়াও আরও কয়েকটি ক্লাব জানিয়েছে, তাদের দলের ফুটবলাররা মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত সপ্তাহেই মার্সেই দল জানায় তাদের চার ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত। তাই সতঁ এতিয়েনের সঙ্গে তাদের ম্যাচ স্থগিত রাখতে হয়েছে। এছাড়াও লিয়ঁ, রেন, নতেঁ এবং মঁপেলিয়ে দলও জানিয়েছে তাদের দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলারের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। সবমিলিয়ে ফরাসি লিগ ফুটবলে আবারও ফিরে এসেছে কোভিড-১৯ আতঙ্ক। তবে শুধু ফ্রান্স বলেই নয়। নতুন মরসুমের ইপিএল শুরুর আগে সঙ্কটে পড়েছে ইপিএলের দলগুলিও। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড তারকা পল পোগবা গত সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন টটেনহ্যাম হটস্পারের মিডফিল্ডার তানজুই দমবেলে। চেলসির কমপক্ষে পাঁচজন ফুটবলার সংক্রমিত হয়েছেন। বাধ্য হয়ে প্রাক মরসুম প্রস্তুতি বন্ধ করে দিয়েছেন ম্যানেজার ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড।