সমীহ: কাউন্টিতে নামার আগেই বিরাট নিয়ে আলোচনা। ফাইল চিত্র
ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ শুরু হতে এখনও বাকি আড়াই মাস। কিন্তু তার আগেই বিরাট কোহালি নিয়ে আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে ইংল্যান্ডে। নেপথ্যে, আইপিএল শেষ হলেই সারের হয়ে ভারত অধিনায়কের আগামী মাসে কাউন্টি খেলতে যাওয়া।
বিরাট নিয়ে সাধারণের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলা দুই ইংল্যান্ড ক্রিকেটার মইন আলি এবং ক্রিস ওকস। আইপিএলে দু’জনেই খেলছেন বিরাটের অধিনায়কত্বে। বলছেন, বিরাট সম্পর্কে অনেক ধারণাই এ বার ভেঙে যাবে সারে ড্রেসিংরুমে।
ইংল্যান্ডের প্রচারমাধ্যমকে মইন এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘সারের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আমাদের বন্ধু। ওই টিমের ড্রেসিংরুমে যদি কেউ ভেবে থাকে যে সে একজন বড় খেলোয়াড়, তা হলে তাকে কয়েকদিন এখন চুপ করে বসে থাকতে হবে। কারণ, আর কয়েকদিন পরেই সারের হয়ে খেলতে নামবে আসল বড় ক্রিকেটার।’’
টম কারেনের মতো ইংল্যান্ডের স্থানীয় তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিদেশি রয়েছেন সারেতে। যাদের নাম মর্নি মর্কেল, ডিন এলগার, মিচেল মার্শ এবং অ্যারন ফিঞ্চ। এর মধ্যে প্রথম দু’জন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার। শেষের দু’জন অস্ট্রেলীয়।
বিশ্ব ক্রিকেটে বিরাটের আগ্রাসী ক্রিকেট নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি প্রচুর সমালোচনাও চলে। ভারত অধিনায়ক সম্পর্কে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মইন এবং ওকস দু’জনেই সেই সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। মইনের কথায়, ‘‘মাঠের মধ্যে বিরাটকে দেখলে প্রথমে মনে হতেই পারে ও খুব উদ্ধত এবং আগ্রাসী। কিন্তু ওর সঙ্গে খেলে দেখেছি মানুষটা একদম উল্টো। এত বিনয়ী ক্রিকেটার হয় না। ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট একজন তারকা। কিন্তু তার পরেও ও ঠিক ফোন করে খবর নেয়, আমি ঠিক আছি কি না বা দুপুরের খাওয়া ঠিকঠাক হয়েছে কি না।’’ মইন আরও বলছেন, ‘‘কখনও দলের কোনও স্থানীয় সদস্য হয়তো গোটা দলকে তাঁর বাড়িতে নিমন্ত্রণ করল নৈশভোজে। বিরাট যে পর্যায়ে রয়েছে, তাতে ও হেলায় ওই সব নিমন্ত্রণে যাবে না বলতে পারে। কিন্তু কেউ আমন্ত্রণ জানালে বিরাট ঠিক হাজির হবে। যারা বিরাট সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেন, তারা ওকে চেনেন না।’’