সদ্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ ড্র করেছে ভারত। বিরাট কোহালির বিশ্রামে নেতৃত্বের দায়িত্ব পাওয়া রোহিত শর্মার তাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে মরিয়া। এই সিরিজে যশপ্রীত বুমরা ও হার্দিক পান্ড্যকে পাচ্ছে না টিম ইন্ডিয়া। পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে পরীক্ষার পথেও একইসঙ্গে চলবে ভারত।
রোহিত শর্মা: হিটম্যান রয়েছেন দুরন্ত ছন্দে। সদ্য টেস্ট ওপেনার হিসেবে নিজেক প্রতিষ্ঠা করেছেন মুম্বইকর। চার ইনিংসে করেছেন ৫২৯ রান। সেই ছন্দ বজায় রাখলে বাংলাদেশের বোলারদের রবিবার নয়াদিল্লিতে অসহায় দেখাতেই পারে। তবে বিশ্বকাপের পর কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে খুব একটা দাপট দেখাতে পারেননি তিনি।
শিখর ধবন: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুই ম্যাচে বাঁ-হাতি ওপেনার করেছেন ৪০ ও ৩৬। বড় রান না পেলেও ফর্মে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন। পরের বছর বিশ্বকাপের ভাবনায় থাকতে গেলে ধারাবাহিক হতেই হবে তাঁকে। অবশ্য এই ফরম্যাটে রোহিতের সঙ্গে ওপেনার হিসেবে তিনিই প্রথম পছন্দ টিম ম্যানেজমেন্টের।
লোকেশ রাহুল: বিরাট কোহালি বিশ্রামে। ফলে তিন নম্বরে খেলতেই পারেন লোকেশ রাহুল। বিশ্বকাপে ওপেনার হিসেবে খারাপ খেলেননি। এই ফরম্যাটে তিনি আবার দুর্দান্ত সফল। আইপিএলেও যথেষ্ট ধারাবাহিক। ফলে, তাঁকে অহেতুক স্কোয়াডে বসিয়ে রাখা বোকামিই হবে।
শ্রেয়স আইয়ার: হালফিল যেটুকু সুযোগ পেয়েছেন, তাতে নজর কেড়েছেন ২৪ বছর বয়সি। ভারতীয় মিডল অর্ডারে চার নম্বর স্লট নিয়ে যাবতীয় চিন্তাভাবনা ও উদ্বেগের সমাধান হতে পারেন মুম্বইকর। ধ্রুপদী ধরানার সঙ্গে জোরে শট মারার ক্ষমতাও রয়েছে। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখের তাঁকে বেশি করে সুযোগ দেওয়া উচিত।
ঋষভ পন্থ: বিশ্বকাপে তাঁকে চার নম্বরেই খেলানো হয়েছিল। কিন্তু নিজেকে এখনও প্রমাণ করতে পারেননি তিনি। ঋষভের সমস্যা হল শট বাছাই। উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসার প্রবণতা রয়েছে তাঁর। ধারাবাহিকও নন। তাঁকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকায় দেখতে চাইছে দল। না হলে কিন্তু সঞ্জু স্যামসন অপেক্ষায় রয়েছেন।
শিবম দুবে: হার্দিক পাণ্ড্য এখনও চোট সারিয়ে সেরে উঠতে পারেননি। এই অবস্থায় মারকুটে অলরাউন্ডার হিসেবে অভিষেক হতে চলেছে শিবম দুবের। ২৬ বছর বয়সি শিবম হার্ডহিটার। জোরে শট মারার ক্ষমতার জন্য নজরে পড়েছেন তিনি। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান হলেও শিবম বল করেন ডান হাতে।
ক্রুণাল পাণ্ড্য: রবীন্দ্র জাডেজাকে রাখা হয়নি দলে। ফলে, বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে নিশ্চিত ভাবেই খেলছেন হার্দিকের দাদা। ব্যাট হাতেও অবদান রাখার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। অলরাউন্ডার হিসেবে দুই বিভাগেই রয়েছে দক্ষতা। আইপিএলে ধারাবাহিক থাকার পুরস্কার হিসেবেই খেলছেন জাতীয় দলে। নিজেকে প্রমাণও করেছেন তিনি।
ওয়াশিংটন সুন্দর: পাওয়ারপ্লে-র ছয় ওভারের মধ্যে বল করতে পারেন ২০ বছর বয়সি। এখনও পর্যন্ত ১২টি টি টোয়েন্টিতে চেন্নাইয়ের অফস্পিনার নিয়েছেন ১২ উইকেট। ইকনমি রেট ৬.২৩, যা এই ফর্ম্যাটে বেশ ভাল। লোয়ার অর্ডারে ব্যাটও করতে পারেন। অলরাউন্ডারই ধরা যায় ওয়াশিংটনকে। ফলে তাঁকে দলে রাখলে বাড়বে ব্যাটিং গভীরতা।
দীপক চাহার: রঞ্জি অভিষেকেই চমকে দিয়েছিলেন। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়েও নতুন বলে সুইংয়ের দক্ষতায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দীপক। ২৭ বছর বয়সি খেলেছেন চারটি টি-টোয়েন্টি। ১৪ গড়ে নিয়েছেন ছয় উইকেট। ইকনমি রেট ৬। সুইংয়ের কারণেই দলের সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন তিনি।
যুজভেন্দ্র চহাল: স্কোয়াডে রয়েছেন আরও একজন লেগস্পিনার, রাহুল চাহার। কিন্তু ২৯ বছর বয়সি চহালের অভিজ্ঞতাই এগিয়ে রাখছে তাঁকে। বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাটে দলের বাইরে রাখা হয়েছিল তাঁকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠেও স্কোয়াডে ছিলেন না। এই সিরিজ তাই চহালের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
খলিল আহমেদ: বাঁ-হাতি পেসার তিনি। ভারতীয় দল সবসময়ই সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে একজন বাঁ-হাতি পেসারকে খেলানোর পক্ষপাতী। ফলে, শার্দুল ঠাকুর নন, খলিলই সম্ভবত খেলবেন রবিবার। ২১ বছর বয়সি এখনও পর্যন্ত খেলেছেন ১১ টি-টোয়েন্টি। তবে তাঁর ইকনমি রেট (৮.৭৭) চিন্তায় রাখছে দলকে।