প্রথম টেস্টে জয় এসেছে অনায়াসে। জয়ী দলে খুব বেশি পরিবর্তন করা কোনও দিনই পছন্দ নয় বিরাট কোহালির। তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে পন্থকে নিয়ে। ওপেনাররাও খুব একটা খুশি করতে পারেননি বিরাটকে। এই অবস্থায় কেমন হতে পারে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম একাদশ? দেখে নেওয়া যাক।
ময়াঙ্ক আগরওয়াল- প্রথম ম্যাচে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচে আবার সুযোগ পাবেন ভারতীয় ক্রিকেটের উঠতি ওপেনার। যদিও সৌরভের মতো কেউ কেউ মনে করেন, রোহিতকে টেস্টেও ওপেনার হিসেবে সুযোগ দেওয়া উচিত। সেই চিন্তায় জল ঢালতে এই ম্যাচে পারফর্ম করতেই হবে তাঁকে।
লোকেশ রাহুল- গত ম্যাচে ভাল শুরু করেছিলেন দুই ইনিংসেই। কিন্তু মাঝ পথে খেই হারিয়ে ফেলেন। ময়াঙ্ক-রাহুল জুটি যদি সফল হতে পারে, তা হলে তাঁরা যে বহু দিন এই দলকে টানতে পারবেন তা বলাই বাহুল্য। তবে সুযোগ হেলায় ফেলে আসা রাহুলের স্বভাব। এবারে তা না হলেই ভারতের পক্ষে ভাল।
চেতেশ্বর পূজারা- ভারতের তিন নম্বরে এক নিশ্ছিদ্র প্রহরী তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের জন্যই যেন তিনি ক্রিকেট বিশ্বে এসেছেন। আইপিএল, বিশ্বকাপের হাজার ওয়াটের রঙিন আলোর ঝলকানিতে তিনি থাকেন না। প্রথম টেস্টে তেমন কিছু করতে না পারলেও তাঁকে বাদ দিয়ে নামা যেন কল্পনার অতীত।
বিরাট কোহালি- ভারত অধিনায়ক নিজে রয়েছেন দুরন্ত ফর্মে। সেই ফর্ম কাজে লাগিয়ে তিনি যে দ্বিতীয় ম্যাচেও সফল হতে চাইবেন তা বলাই যায়। বেশ কিছু রেকর্ডের মুখে তিনি। এই ম্যাচেও তাই তিনি স্কোরারদের ব্যস্ত রাখবেন বলাই যায়।
অজিঙ্ক রাহানে- বহু দিন পর সেঞ্চুরি এল রাহানের ব্যাট থেকে। গত ম্যাচ যেন রাহানেরই মঞ্চ ছিল। চাপের মুখে তাঁর ব্যাটিং এই মুহূর্তে তাঁকে নিয়ে ওঠা প্রশ্নগুলোকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে মাঠের বাইরে। তাই দ্বিতীয় ম্যাচেও পাঁচ নম্বরে তাঁকেই দেখা যাবে।
হনুমা বিহারী- গত ম্যাচে পেতেই পারতেন জীবনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। ক্ষণিকের অমনোযোগিতায় মাঠেই ফেলে এলেন সেই সুযোগ। এই ম্যাচে মুখিয়ে থাকবেন ফেলে আসা সেঞ্চুরি পূর্ণ করার।
ঋদ্ধিমান সাহা- ঋষভ পন্থ-কে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বার বার। কিন্তু তিনি যে শুধু অসফল হচ্ছেন তাই নয়, প্রশ্ন উঠেছে তাঁর শট নির্বাচন নিয়েও। সেঞ্চুরির মুখে থাকা হনুমার ওপর অহেতুক চাপ বাড়িয়ে ফিরে যাওয়া ভাল চোখে নেননি অনেকেই। তাই এই ম্যাচে বাংলার ঋদ্ধিকে ফিরিয়ে আনতেই পারে বিরাট।
রবীন্দ্র জাডেজা- তিন ধরনের ক্রিকেটেই তিনি অপরিহার্য হয়ে উঠেছেন। তিনি মাঠে থাকা মানে শুধু ব্যাট-বল নয়, ফিল্ডিংয়েও এগিয়ে থাকবে ভারত।গত ম্যাচে ব্যাটে-বলে নজর কেড়েছেন। অশ্বিন বসে থাকলেও জাডেজাকে কখনওই বাদ দেবেন না বিরাট।
মহম্মদ শামি- দ্বিতীয় ম্যাচেও তিন পেসার নিয়ে দল নামলে শামি সুযোগ পাবেন বলাই যায়। তাঁর গতির হদিশ অনেক ব্যাটসম্যানই পেতে ব্যর্থ। ক্যারিবিয়ানদেরও বড় পরীক্ষার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে সামলাতে।
ইশান্ত শর্মা- টেস্ট ক্রিকেটে তাঁকেও দল অপরিহার্য মনে করে। দিল্লির এই পেসার ক্যারিবিয়ান পিচে বাউন্স আদায় করে নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। সেইকথা প্রমাণ করেছেন প্রথম ম্যাচেই। ভারতীয় দলের বহু বৈচিত্র্যের মধ্যে তিনি এক অন্যতম অংশ।
যশপ্রিত বুমরা- বিষাক্ত ইয়র্কার এত দিন ভয়ের কারণ ছিল ব্যাটসম্যানদের। তাঁর সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে ইনসুইং এবং আউটসুইং। একদিনের সিরিজে বিশ্রাম পেয়ে বুমরা যেন আরও বেশি বিষাক্ত হয়ে উঠেছেন।