আগামিকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য ভারতীয় দল নির্বাচন। বিশ্বকাপে ভাল পারফরম্যান্স না করার জন্য বাদ পড়তে পারেন কয়েকজন। দলে আসতে পারে একাধিক নতুন মুখ। বিরাট কোহালি যদি না খেলেন, তা হলে অধিনায়কের দায়িত্ব নেবেন রোহিত শর্মা। দেখে নেওয়া যাক, ভারতের ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি দল কেমন হতে পারে।
শিখর ধওয়ন- দুটো ম্যাচ খেলেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল। তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তবে নতুন ওপেনার তৈরি রাখার জন্য ঘুরছে পৃথ্বী শ-এর নাম। যদিও কোমরের চোটে ভুগছেন তিনিও। নির্বাচকরা কাকে বেছে নেবেন, সেটাই দেখার।
রোহিত শর্মা- ওয়ানডে বা টি টোয়েন্টি দলে খেলার সম্ভবনা কম বিরাট কোহালির। সেই জন্য ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যেতে পারেন রোহিত শর্মাকে। তবে, বিরাট খেললেও দলে রোহিত যে থাকবেন, তা নিশ্চিত। দুরন্ত ফর্মে থাকা ‘হিটম্যান’কে বাদ দেওয়ার কথা বোধ হয় ভাববেন না কেউই।
শুবমান গিল- পঞ্জাবের এই তরুন ব্যাটসম্যানকে এবার দেখে নেওয়ার পালা। মিডল অর্ডারে এবারের দলে বেশ কিছু নতুন মুখের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গিল। তাঁর খেলার ধরন এখনই বেশ নজর কেড়েছে ক্রিকেটমহলে।
লোকেশ রাহুল– ওপেনার হিসেবে এবং মিডল অর্ডারে বিশ্বকাপে খেলেছেন রাহুল। তাঁর প্রতিভা নিয়ে কোনও সংশয়ই নেই। তবে ক্রিজে জমে যাওয়ার পরে উইকেট দিয়ে আসার প্রবণতা রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রাহুল কেমন খেলেন, সেটাই দেখার। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে তাঁর নির্বাচন একপ্রকার নিশ্চিত।
ঋষভ পন্থ- অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে এই সিরিজে। ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি দলে উইকেটের পিছনে দেখা যেতে পারে এই মারকুটে ব্যাটসম্যানকে। ক্যারিবিয়ান সফর পন্থের অগ্নিপরীক্ষাই বলা যায়। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে পন্থকে তৈরি করার কথা ভাবা হচ্ছে।
মনীশ পাণ্ডে- ভারতের ‘এ’ দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ব্যাটে ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছিলেন মনীশ। ভারতীয় দলের ভঙ্গুর মিডল অর্ডারকে ভরসা দিতে পারেন কিনা সেটাই দেখার। ফের সুযোগ দেওয়া হতে পারে তাঁকে।
ময়ঙ্ক আগরওয়াল- বিজয় শঙ্কর চোট পাওয়ায় বিশ্বকাপে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। তবে ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি দলের জন্য তাঁকেই নেওয়া হবে নাকি দেখে নেওয়া হবে শ্রেয়াস আইয়ারকে? ঘরোয়া লিগে শ্রেয়াসের ফর্ম তাঁর হয়ে ব্যাট করবে কালকে দল নির্বাচনে। দেখা যাক মিডল অর্ডারের রোগ সারাতে কাকে ডাকা হয় দলে।
হার্দিক পাণ্ড্য- এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের অন্যতম ভরসা তিনি। তাঁকে বাদ দেওয়া এই মুহূর্তে অসম্ভব। ব্যাট ও বল হাতে তাঁর যে ফর্ম বিশ্বকাপে দেখা গিয়েছে, তার ঝলক আবার দেখতে চাইবেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
রবীন্দ্র জাডেজা- বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার প্রায় জিতিয়ে দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচ। তাঁকে দলে রাখা হবে কিনা সেটা নির্ভর করছে নির্বাচকদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। কারণ নির্বাচকরা যদি মনে করেন তাঁরা রাহুল চহারের লেগ স্পিন দেখে নিতে চাইবেন এই সিরিজে, তাহলে হয়তো বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে জাড্ডুকে। তবে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং বিভাগে জাডেজার দক্ষতা এগিয়ে রাখছে তাঁকে।
কুলদীপ যাদব- এই চায়নাম্যান বোলারকে বিশ্বকাপে ফর্মে না পাওয়া গেলেও, তাঁর বাঁহাতের ভেল্কি সমস্যায় ফেলতে পারে ক্যারিবিয়ানদের। সেই জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত।
যুজবেন্দ্র চহাল- ‘কুল-চা’ জুটিকে ভাঙতে চাইবে না ভারতীয় দল। বিশ্বকাপে কুলদীপ ফর্মে না থাকলেও, নিজের কাজ ঠিক ভাবে করে গিয়েছেন যুজবেন্দ্র চহাল। তাই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে ধরেই নেওয়া যায়।
মহম্মদ শামি- ভারতের এই ‘স্পিড স্টার’কে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নিয়ে যাওয়া নিশ্চিত। কারণ বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে যশপ্রীত বুমরাহকে। তাই এই দলে অভিজ্ঞ শামি দলের বড় ভরসার জায়গা।
ভুবনেশ্বর কুমার- দলের আরেক পেসার তিনিই। এই দলের দ্বিতীয় অভিজ্ঞ পেসার ভুবি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভুবি-শামি জুটি তাঁদের সেই পুরনো ফর্ম দেখাতে পারেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সবার।
খলিল আহমেদ- তরুণ বাঁহাতি পেসারকে এবার তৈরি করার সময় এসেছে ভারতীয় দলের। কারণ এই ভারতীয় দলে পেসার একাধিক থাকলেও বাঁহাতি বোলার নেই। সেই জায়গা নিতে পারেন খলিল আহমেদ। নির্বাচকরা এই সিরিজে হয়তো দেখে নিতে চাইবেন তাঁকে।
দীপক চাহার- দলের চার নম্বর পেসার হতে পারেন তিনি। তবে নভদীপ সাইনি, আবেশ খানের মতো আরও কিছু নাম উঠে আসছে। দেখা যাক কার সুযোগ হয় দলে। তবে চেন্নাই দলের হয়ে ভাল খেলা দীপকের একটু হলেও সুযোগ বেশি।