বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ দাপটে জেতার পর এ বার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ফিরছে ভারত। উল্টোদিকে ২০১৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হায়দরাবাদে আজ প্রথম টি-টোয়েন্টি। এই ফরম্যাটে ভারতীয় দলে ফিরেছেন বিরাট কোহালি, রবীন্দ্র জাডেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ শামি, কুলদীপ যাদবরা। দেখে নেওয়া যাক ভারতের প্রথম এগারো কী হতে চলেছে।
লোকেশ রাহুল: শিখর ধবন চোটের জন্য নেই। ফলে প্রথম এগারোয় আসছেন কর্নাটকি। এই ফরম্যাটে তাঁর গড় ৪০-এর বেশি। স্ট্রাইক রেট ১৪০-এর বেশি। তবু জায়গা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৫২ করেছিলেন রাহুল। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও আট ম্যাচে ৩১৩ রান করেছেন।
রোহিত শর্মা: যথারীতি এই ফরম্যাটে হিটম্যানের কাছে আদর্শ। সাদা বলের ক্রিকেটে ধারাবাহিক থেকেছেন তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হারিয়েছিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেই আক্ষেপ নিশ্চয়ই মিটিয়ে নিতে চাইবেন রোহিত।
বিরাট কোহালি (অধিনায়ক): বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে রান তাড়ার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবেই ‘চেজমাস্টার’ নেতৃত্ব দেবেন ব্যাটে। আর ফরম্যাট যাই হোক, তাঁর উপর সবসময়ই নির্ভরশীল ভারত।
শ্রেয়স আইয়ার: ইংল্যান্ডে হওয়া ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের আগে থেকেই চার নম্বরের খোঁজে ছিল ভারত। সেই টালবাহানা ভুগিয়েছিল বিশ্বকাপে। এই মুহূর্তে অবশ্য সেই দুশ্চিন্তা অনেকটাই কম। কারণ, শ্রেয়স বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিডল অর্ডারে ভরসা দিয়েছেন দারুণ ভাবে। দেখিয়েছেন, চার নম্বরে নেমে দলকে টানার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে।
ঋষভ পন্থ: আরও একবার নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পেয়েছেন দিল্লির উইকেটকিপার। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির উত্তরসূরি হিসেবে একসময় চিহ্নিত হচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাব, উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসার প্রবণতা, উইকেটকিপিংয়েও দুর্বলতা প্রভৃতি কারণে দলের আস্থা ক্রমশ কমছে তাঁর উপরে। পন্থ কি পারবেন সমালোচকদের জবাব দিতে?
শিবম দুবে: হার্দিক নেই। ফলে সুযোগ পেয়েছেন মুম্বইয়ের আক্রমণাত্মক অলরাউন্ডার শিবম। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিষেক ঘটেছে তাঁর। তবে ব্যাট হাতে নিজেকে চেনাতে পারেননি। বরং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ টি-টোয়েন্টিতে বল হাতে তিন উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
রবীন্দ্র জাডেজা: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে ছিলেন। কিন্তু টেস্টে দারুণ ফর্মে রয়েছেন তিনি। ব্যাট হাতেও ভরসা দেখিয়েছেন। ফলে, অলরাউন্ডার হিসেবে তাঁর উপর আস্থা রাখতেই পারে ভারত। আর ফিল্ডার জাডেজার তো তুলনাই হয় না।
ওয়াশিংটন সুন্দর: টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিয়মিত পাওয়ারপ্লে ওভারে বল করছেন দক্ষতার সঙ্গে। অফস্পিনার সুন্দরের ব্যাটের হাতও ভাল। অলরাউন্ডার হিসেবেই ধরা যায় তাঁকে। ফলে তিনি খেললে বাড়বে ব্যাটিং গভীরতা। আর ভারতীয় দল এই ফরম্যাটে বোলারদের থেকেও ব্যাটিং চাইছে।
ভুবনেশ্বর কুমার: দীর্ঘদিন চোটের জন্য খেলতে পারেননি ভুবনেশ্বর কুমার। চোট সারিয়ে তিনি ফিরেছেন দলে। এই ফরম্যাটে ভুবির বৈচিত্র অত্যন্ত কার্যকরী। তাঁর নাকল বলে স্লগ ওভারে আসে উইকেট। পাশাপাশি, ব্যাট করতেও তিনি পারেন।
দীপক চাহার: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ টি-টোয়েন্টিতে সাত রানে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন। করেছিলেন হ্যাটট্রিক। তার পর ঘরোয়া ক্রিকেটেও সেই ছন্দে বল করেছেন। হাতে দুর্দান্ত সুইং রয়েছে দীপকের। আর সেটাই তাঁকে বিপজ্জনক করে তুলেছে ব্যাটসম্যানদের কাছে।
যুজবেন্দ্র চহাল: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লেগস্পিনার দেখিয়েছেন তিনি দলের পক্ষে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। রিস্ট স্পিনার হিসেবে মাঝের ওভারগুলোয় উইকেট নেওয়ার দায়িত্ব তাঁর উপর। আর চহাল দেখিয়েছেন তিনি এই দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা ধরেন।